মামুনুর রশীদ, ত্রিশাল: ডাল ভাংগানোর যন্ত্র ‘যাঁতা’ ময়মনসিংহের ত্রিশালে বিলুপ্তির পথে। এ যন্ত্রটি এখন আর কোথাও বব্যহার হতে দেখা যায় না।
উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নের গ্রামের কৃষকদের ঘর থেকে হারিয়ে যাচ্ছে এই হস্ত যন্ত্রটি। জানাগেছে, আগের কার দিনের প্রতাভশালী কৃষকদের ঘরে ঘরে ছিল ডাল ভাঙ্গানোর যাঁতা। তখনকার নববধূরা তাদের বাবার বাড়ী থেকে উপহার সামগ্রী হিসাবে আনতেন ডাল ভাঙ্গানোর সেই যন্ত্রটি। যাঁতা থেকে তৈরীকৃত ডাল স্বাস্থ্যসম্মত ও রুচিশীল ছিল।
আর এই হাতে ঘুরানো যন্ত্রটি শরীরের জন্যও ছিল অনেক উপকারী। আজ থেকে ২০/২৫ বছর আগে গ্রামের কৃষকরা তাদের ফসলী জমিতে বিভিন্ন ধরনের ডাল চাষ করতেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল মসুরের ডাল। সেই ডাল ভাঙ্গানোর একমাত্র ভরসাই ছিল যাঁতা। হাতে একখন্ড কাঠি দিয়ে গোল আকৃতির পাথরের তৈরি চাকাটিকে ঘুরিয়ে ডাল তৈরী করতেন।
ডাল এবং চাউলের গুড়া তৈরী একমাত্র এই যন্ত্রটি তখনকার দিনের গ্রামের মানুষের নিকট খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আধুনিক যুগে এর কোথাও সন্ধান মিলেনি। নতুন প্রজন্মের লোকদের নিকট এটি শুধু রূপকথার গল্পেরমত। এটি সম্পর্কে তাদের কোন ধরনের ধারণা নেই বললেই চলে। আগে বড় বড় বাজার গুলোতে এই যন্ত্রটি ক্রয়-বিক্রয় হলেও বর্তমানে কোথাও পাওয়া যায় না। এখনো গ্রামের প্রভাবশালী দুই একটা বাড়ীতে এর দেখা মিললেও ব্যবহার করা হচ্ছে না, পরে আছে অকেজো অবস্থায়। কালের বিবর্তনে যাঁতা (চাকি) আজ বিলুপ্তির পথে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন