
বিশ্বকাপ বাছাই পর্ব পেছানোয় সুবিধা দেখছেন তিন টাইগ্রেস
আব্দুল্লাহ এম রুবেলবাছাই পর্ব পেরিয়ে ২০২১ ওমেন্স ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে হবে বাংলাদেশকে। ৩ থেকে ১৯ জুলাই শ্রীলঙ্কায় এ প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু করোনার ধাক্কায় পিছিয়ে গেছে বিশ্বকাপ বাছাই পর্ব। প্রতিযোগীতা পিছিয়ে যাওয়ায় স্বস্তি বাংলাদেশ শিবিরে। বাছাই পর্ব থেকে তিনটি দল আগামী বছর নিউজিল্যান্ডে হতে যাওয়া বিশ্বকাপের মূল পর্বে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে।
ওয়ানডে বিশ্বকাপে এখনও অভিষেক হয়নি বাংলাদেশের। এবার সেই লক্ষ্যেই বাছাইপর্বে অংশ নিত টাইগ্রেসরা। এজন্য প্রস্তুতি শুরু হওয়ার কথা ছিল মার্চেই। পাশাপাশি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একটি হোম সিরিজ আয়োজনের কথা ছিল।কিন্তু করোনার ধাক্কায় সব পরিকল্পনাই মাটি হয়েছে। সূচি অনুযায়ী বাছাই পর্ব অনুষ্ঠিত হলে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি হবে কিনা তা নিয়ে চিন্তিত ছিল বাংলাদেশ শিবির। প্রতিযোগীতা পিছিয়ে যাওয়ায় নিজেদের প্রস্তুতির ভালো সুযোগ বলছেন ওয়ানডে অধিনায়ক রুমানা আহমেদ। একই সুর সালমা খাতুন ও জাহানারা আলমের কন্ঠে।
রুমানা জানালেন, এখন থেকেই নতুন করে পরিকল্পনা শুরু করবেন তারা। যে করেই হোক নিউজিল্যান্ডে স্বপ্নের বিশ্বকাপ খেলতে মুখিয়ে বাংলাদেশ। এজন্য বাছাই পর্ব নিংড়ে দিতে চান টাইগ্রেসরা। অধিনায়ক বলেছেন,‘এই মহামারির সময়ে টুর্নামেন্ট স্থগিত হতে পারে এরকম একটা ধারনা করছিলাম। তবে নিশ্চিত ছিলাম না। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসায় এখন কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছি। কারণ দীর্ঘদিন আমরা মাঠের বাইরে। ঘরে বসে যতই ফিটনেস নিয়ে কাজ করি না কেন, মাঠে থেকে ফিটনেস নিয়ে কাজ করার মতো হচ্ছিল না। এখন অনুশীলনের জন্য যথেষ্ট সময় পাওয়া যাবে আশা করি। সেই সময়টাকে কাজে লাগিয়ে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের জন্য পুরোপুরি ফিট করতে পাবে ক্রিকেটাররা। এখন নতুন করে পরিকল্পনা সাজাতে হবে আমাদের।’
টি-টোয়েন্টিতে এশিয়া কাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। তবে এখন পর্যন্ত ওয়ানডে বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলার সুযোগ না পাওয়ার আক্ষেপ আছে অধিনায়কের। শেষবার অনেক চেষ্টা করেও সফল হয়নি বাংলাদেশ। একটি ম্যাচ হেরে বিদায় নেয় টুর্নামেন্ট থেকে। এবার সেই আক্ষেপ ঘুচানোর প্রত্যয় রুমানার,‘এবার যেন পুরোনো ভুল না হয় সেই চেষ্টাই করবো। অধিনায়ক হিসেবে বলতে চাই, আমাদের মূল টার্গেটই মূল বিশ্বকাপে খেলা। ইনশাআল্লাহ এবার আমরা সেটা করতে পারবো।’
দলের সবচেয়ে সিনিয়র ক্রিকেটার ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সামলা বলেছেন,‘বাছাই পর্ব পিছিয়ে যাওয়াতে ভালো হয়েছে। এখনও গৃহবন্দী। করোনার পরিস্থিতি না হলে এখন মেয়েদের জাতীয় লীগ হয়ে যেতো। ফলে প্রস্তুতির ঘাটতি থাকতো না। কিন্তু সেসব তো আর হলো না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসার পর বাছাই পর্ব যখনই হোক আমাদেরকে প্রস্তুত থাকতে হবে।’
বাংলাদেশের পেস আক্রমণের সেরা অস্ত্র জাহানারা লকডাউনে ঢাকায় অবস্থান করছেন। গৃহবন্দীর সময়টায় ক্রিকেট নিয়ে খুব ভাবছেন না। নিজের ফিটনেসে মনোযোগী। সাথে ব্যক্তিগত কাজ সেরে নিচ্ছেন। বাছাই পর্ব পিছিয়ে যাওয়ার আনন্দ ছুঁয়েছে তাকেও।
‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে এখন হয়তো খেলার মধ্যেই থাকতাম। প্রস্তুতি বা পরিকল্পনা সেভাবেই নেয়া হতো। বাছাই পর্ব স্থগিত করেছে, আমাদের বা অংশ গ্রহণকারী দলগুলোকে নিশ্চয়ই প্রস্তুত হওয়ার জন্য সময়টা দিবে। আশা করছি সেই সময়টাকে কাজে লাগিয়ে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে পারবো।’
এবার মূল বিশ্বকাপে খেলা বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন জাহানারা,‘আমরা কিন্তু মেয়েদের ক্রিকেটের প্রথম ব্যাচ। অলরেডি দ্বিতীয় ব্যাচ আসতে শুরু করেছে। আমরা যারা সিনিয়র ক্রিকেটার আছি, তাদের দায়িত্ব পরের ক্রিকেটারদের জন্য একটা ভালো প্লাটফর্ম তৈরি করে দেয়া। সেজন্য এবারের বাছাই পর্ব আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।’
ঢাকা/ইয়াসিন
from Risingbd Bangla News https://ift.tt/2SW4Ws0
via IFTTT
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন