করোনাভাইরাসের এ পরিস্থিতিতে মানুষের চিকিৎসা নিশ্চিত করা, খাদ্য সামগ্রী বিতরণসহ নানা ধরনের কাজ করছে বিএনপি।
দলের নেতাদের দাবি, এই মুহুর্তে জাতীয় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ও মানুষের পাশে দাঁড়ানো এই দুই করে যাচ্ছে বিএনপি।
রাজনৈতিক কার্মকাণ্ড বলতে ৮৭ হাজার কোটি টাকার প্রনোদনা প্রস্তাব, বাম জোটের সংলাপে যুক্ত হওয়া, ‘জাতীয় করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ সেল’ গঠনকে বুঝিয়েছেন বিএনপি নেতারা। জেলায় জেলায় এই সেল গঠন করে সামগ্রিক তথ্য সংগ্রহ করা হবে বলে তারা জানান।
বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান বলেন, ‘দেশের অন্য কোনো রাজনৈতিক দল বিএনপির মতো এমন পদক্ষেপ নেয়নি। দলীয়ভাবে আওয়ামী লীগ কোথাও নেই। যা কিছু করার সরকার করছে। কিন্তু ক্ষমতায় না থেকেও দলীয়ভাবে বিএনপি মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।’
দলের সিনিয়র নেতারা বলছেন, ‘এখন সময় দেশের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর। মানুষের চিকিৎসা নিশ্চিত করা, মানুষের মুখে খাবার তুলে দেওয়া। মানুষের জীবন রক্ষা করা। বিএনপি ক্ষমতায় নেই। ১৪ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকায়, দমন পীড়নে দলীয় নেতা-কর্মীদের অবস্থা অনেকটা নাজুক। মামলা হামলার কারণে দলীয় নেতা-কর্মীদের ব্যবসা বাণিজ্যে ধস। তারপরও তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী তারা অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।’
তারা জানান, রোজার এই সময়ে বিগত বছরে বিভিন্ন স্থানে বিএনপি ইফতারের আয়োজন করলেও এবার করোনার কারণে তা করছে না। কেননা করোনা থেকে রক্ষা পেতে হলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। তাই ইফতারের আয়োজন না করে কার্যত লকডাউনের এই সময়ে মানুষের খাদ্য নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছে। অসহায় মানুষের ঘরে ঘরে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে। রমজানের এই সময়ে খাদ্য সামগ্রীর সঙ্গে ইফতারিও দেওয়া হচ্ছে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘করোনা নিয়ে বিএনপি নেতা-কর্মীরা দিন রাত কাজ করে যাচ্ছে। শুধু ঢাকাতে নয়, সারা দেশে বিএনপি নেতা-কর্মীরা কাজ করে যাচ্ছে। মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমি নিজেই দেশের বিভিন্ন জেলায় ছুটে গিয়ে অসহায় মানুষে পাশে দাঁড়িয়েছি। মুন্সিগঞ্জ, নারায়নগঞ্জ শেষে রাজশাহী, গাজীপুরে ত্রাণ দিয়েছি।’
খাদ্য সামগীর মধ্যে ইফতার সমাগ্রীও থাকছে বলে জানিয়ে বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, ‘সব জায়গায় থাকছে তা বলবো না, তবে অধিকাংশ জায়গায় খাদ্য সামগ্রীর সঙ্গে ইফতারিও দেওয়া হচ্ছে।’
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার বলেন, ‘যে সময় মানুষ হাসপাতালে গিয়ে সাধারণ রোগেরও চিকিৎসা পাচ্ছিল না, তখন আমরা রোগীদের চিকিৎসা পরামর্শ দেওয়া শুরু করি। শুরু তাই নয়, বিভিন্ন হাসাপাতালে যারা চিকিৎসা দিচ্ছেন- আমরা সেই সব চিকিৎসক, স্বাস্থকর্মীদের সুরক্ষার জন্য পিপিই সরবরাহ করে আসছি। রাস্তার পাশে মানুষের হাত ধোঁয়ার ব্যবস্থা করেছি। ডেঙ্গু মোকাবিলায়ও আমরা কাজ শুরু করেছি। বিভিন্ন বস্তিতে বস্তিতে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হয়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালের আশেপাশে এডিস মর্শার লার্ভা ধ্বংসে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হবে।’
শুক্রবার গাজীপুরে ত্রাণ বিরতনের সময় রুহুল কবির রিজভী জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত ১৩ লাখ পরিবারকে ত্রাণ দিয়েছে বিএনপি নেতা-কর্মীরা।
এদিকে ৭ মে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ব্যবস্থাপনায় সাংবাদিকদের সুরক্ষা সামগ্রী পিপিই তুলে দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ৮ মে চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনে পিপিই পৌঁছে দেন।
ঢাকা/সাওন/ইভা
from Risingbd Bangla News https://ift.tt/3dxUT4r
via IFTTT
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন