‘ভারী বল ব্যবহারে মুক্তি মিলবে বল টেম্পারিং থেকে’ - পূর্বকন্ঠ

শিরোনাম :

বুধবার, ৬ মে, ২০২০

‘ভারী বল ব্যবহারে মুক্তি মিলবে বল টেম্পারিং থেকে’

‘ভারী বল ব্যবহারে মুক্তি মিলবে বল টেম্পারিং থেকে’

ক্রীড়া ডেস্ক

ক্রিকেট মাঠে বল থেকে সুইং আদায় করে নিতে বিভিন্ন রকম কাজ করে থাকেন বোলাররা। কেউ বলের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর চেষ্টা করেন। আর এজন্য তারা বলে লালা ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু করোনার এই সময় এসে বলে লালা ব্যবহারে ক্রিকেটারদের স্বাস্থ্যঝুঁকি দেখছে আইসিসি। তাই আম্পায়ারের সামনে বল টেম্পারিংয়ের অনুমতি দেওয়ার প্রস্তাব তুলেছে তারা। এদিকে বল তৈরি করা প্রতিষ্ঠান কোকাবুরা জানিয়েছে বলের উজ্জ্বলতা বাড়াতে মোম বানাচ্ছে তারা। কিন্তু এসব নিয়ে রয়েছে নানা মত।

অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট কিংবদন্তি শেন ওয়ার্নও চান না বল টেম্পারিং হোক বা অন্য কিছু ব্যবহার করা হোক। আর তাই নিজের একটা ফর্মুলা দিয়েছেন এই অজি লেগ স্পিনার। তিনি মনে করেন, বলের আকার পরিবর্তন করলেই মিলবে সমাধান। সবসময় সুইং পাওয়ার জন্য এক পাশ ভারী বল তৈরি করা যেতে পারে বলে মনে করেন ওয়ার্ন।

স্টার স্পোর্টসে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘সবসময় সুইং পাওয়ার জন্য বলের একপাশ কেন ভারী হতে পারে না? এটা হবে টেপ পেঁচানো টেনিস বলের মত, অথবা লন বলের মত।’ এরপর যোগ করেন, ‘বল টেম্পারিংকে বৈধতা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। ভারী বল ব্যবহারে আলোচ্য সমস্যার সমাধান সম্ভব।’

ওয়ার্ন এরপর ব্যাখ্যা করেন এরফলে ঠিক কী পরিমাণ সুইং পেতে পারেন ক্রিকেটাররা। এক্ষেত্রে উদাহরণ হিসেবে টেনে আনেন, ‘মাস্টার অফ সুইং’ খ্যাত পাকিস্তানের কিংবদন্তি পেসার ওয়াসিম আকরাম ও ওয়াকার ইউনিসের নাম। ওয়ার্ন বলেন, ‘আপনারা ওয়াসিম ও ওয়াকার যেমন ভয়ঙ্কর সুইং করাত, তেমন দেখতে চান কি-না, আমি নিশ্চিত নই। তবে এতে বল সুইং করবে এবং ফ্ল্যাট উইকেটেও পেসাররা সহায়তা পাবে। এমনকি খুব গরম ও পিচ অনেক বেশি ফ্ল্যাট হয়ে গেছে দ্বিতীয়-তৃতীয় দিনে, তখনও সুবিধা পাবে বোলাররা।’

ওয়ার্ন এছাড়াও যুগে যুগে ব্যাটের বিবর্তন হওয়ার কথা তুলে বোলারের সুবিধার্থে কেন বলের আকার পরিবর্তন করা যাবে না? এমন প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘ব্যাটগুলো কীভাবে বিবর্তিত হয়েছে দেখুন। আশির দশকে যে ব্যাট দিয়ে খেলা হয়েছিল এবং এখনকার সময়ের ব্যাট মিলালে দেখা যায় সেই সময়ের চারটা ব্যাটের সমান এখনকার একটা, কিন্তু জিনিসটা হালকা। তাহলে বল কেন বিবর্তিত হবে না? যদি অন্যকিছু করা হয়, এটা আরও খারাপ হবে।’

ওয়ার্ন বলছেন, তাঁর পরামর্শ মেনে বলের আকার পরিবর্তন করলেই আর কোনো দুশ্চিন্তা থাকবে না। বরং ব্যাটে-বলের লড়াইয়ে আসবে ভারসাম্য। তাঁর ভাষ্যে, ‘সামনে এগিয়ে যাওয়ার এটা ভালো একটা উপায়, যেহেতু বলে কারোর কিছু করার প্রয়োজন নেই। বোতলের ছিপি, স্যান্ডপেপার কিংবা অন্য কিছু দিয়ে বল টেম্পারিং হতে পারে, এ নিয়ে আর দুশ্চিন্তা করতে হবে না। এতে ব্যাট-বলের দারুণ লড়াই দেখা যেতে পারে।’


ঢাকা/কামরুল



from Risingbd Bangla News https://ift.tt/3bbhwd8
via IFTTT

কোন মন্তব্য নেই: