সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে রক্ষার জন্য সবাইকে মাস্ক পরতে হবে - পূর্বকন্ঠ

শিরোনাম :

শুক্রবার, ২০ নভেম্বর, ২০২০

সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে রক্ষার জন্য সবাইকে মাস্ক পরতে হবে

সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে রক্ষার জন্য সবাইকে মাস্ক পরতে হবে। আর স্কুল খুলে ছেলে-মেয়েদের মৃত্যুর ঝুঁকিতে ফেলে দিতে পারি না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী মুজিববর্ষ উপলক্ষে জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশন ও সংসদের দশম অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে এক দফায় স্কুল খোলা হয়েছিল, কিন্তু সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় পরে আবার তারা স্কুল বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। দেশে সংক্রমণ কমার পর সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করেছিল। কিন্তু ইউরোপে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ দেখা দেয়। বাচ্চারা স্কুলে গেলে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন রাখেন, সংক্রামক এই ব্যাধির এখনো চিকিৎসা বের হয়নি। ছেলেমেয়েদের ক্ষেত্রে ঝুঁকি কেন নেবেন?

এসময় করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে রক্ষার জন্য প্রধানমন্ত্রী সবাইকে মাস্ক পরারও আহ্বান জানান ৷

অটোপ্রমোশন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের এখানে তো আগে সেমিস্টার সিস্টেম ছিল না। আমরা সেমিস্টার সিস্টেম চালু করি। সেটাকে সারা বছর যে পরীক্ষ দিয়েছে তার ভিত্তিতে একটা ফলাফল আসবে। এটা তো ইংল্যান্ডেও দিয়েছে। এটা পৃথিবীর অনেকে দেশে দিয়েছে। এতে খুব বেশি  একটা ক্ষতি হবে তা নয়। এরপর তারা স্কুলে যাবে। পরীক্ষ দেবে যারা টিকে থাকবে, থাকবে। সেই সুযোগটা তাদের আছে। কাজেই অটো প্রমোশনে এমন একটা খুব ক্ষতি হয়ে গেলো এমনটি নয়। একদিন বসে লিখে পাস করে, সেই পাসই পাস আর সারা বছর যে পরীক্ষা দিয়ে দিয়ে যে রেজাস্ট, তা রেজাল্ট নয় এটা তো হতে পারে না। বরং সেইভাবে যদি সারা বছরের রেজাল্ট একসঙ্গে করে প্রমোশন দিয়ে দেওয়া যায় আমি তো মনে করি সেটা তাদের মেধার পরিচয়টা পাওয়া যায়। আরো ভালো রেজাল্ট পাওয়া যায়।

এর আগে বিরোধী দলের উপনেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার যৌক্তিতা নেই মন্তব্য করে তা খুলে দেওয়ার প্রস্তাব করেন।

জিএম কাদের তার সমাপনী বক্তব্যে বলেন, সবকিছু চলে শুধু শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে ৷ এতে শিক্ষার ক্ষতি হচ্ছে ৷ তিনি অটো প্রমশনেরও উদ্যোগেরও সমালোচনা করেন। 

 

কোন মন্তব্য নেই: