ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের প্রথম ধাপের লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে বলে দাবি করেছে মস্কো। দ্বিতীয় ধাপে তাদের লক্ষ্য ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল। রাশিয়ার শীর্ষ সামরিক কমান্ডার সের্গেই রুস্কয় বুদানভ বলেছেন, ‘ইউক্রেনে চলমান অভিযানে কিয়েভের যুদ্ধ-সক্ষমতা অনেকখানি কমে গেছে’।
রাশিয়ার এ দাবির বিপরীত মত পোষণ করেছেন ফিলিপস ও’ব্রায়েন নামের একজন শীর্ষ পশ্চিমা সামরিক বিশ্লেষক। ইউক্রেনে রাশিয়ার প্রাথমিক কৌশল ব্যর্থ হয়েছে বলে মত প্রকাশ করে বিবিসিকে তিনি বলেন, ‘এখন তাদের সেনাবাহিনীকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে পরবর্তী করণীয় কী।’
সেন্ট অ্যান্ড্রুজ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের অধ্যাপক ফিলিপস ও’ব্রায়েন বলেন, `অনেক বিদেশি পর্যবেক্ষক যুদ্ধে রাশিয়ার সামরিক শ্রেষ্ঠত্বের জয় হবে—এমন' ‘সহজ বুদ্ধিবৃত্তিক উপায়’ অনুমান করেছিলেন। যা হোক, এটি রাশিয়ার সক্ষমতা নিয়ে ‘খুব ভ্রান্ত ধারণা’। দেশটির সেনারা এই যুদ্ধ করতে চান কি না, তা ওই পর্যবেক্ষকেরা বিবেচনায় নেননি। সেই সঙ্গে ইউক্রেনের সক্ষমতাও ছোট করে দেখেছেন তাঁরা।
অধ্যাপক ফিলিপস বলেন, ২০১৪ সালে রাশিয়া ক্রিমিয়া দখল করে নেওয়ার পর থেকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল ইউক্রেন। কারণ, তারা ‘রুশ স্বৈরতন্ত্রের অধীনে’ থাকতে চায় না। এখন রাশিয়াকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা কী করবে। তারা যুদ্ধকে আরও জোরাল করতে পারে বা এর তিব্রতা কমিয়ে আনতে পারে।
আগ্রাসন কমিয়ে আনাই রাশিয়ার জন্য সবচেয়ে যুক্তিসংগত হবে এবং এ জন্য একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে হবে বলে মনে করেন এই সামরিক বিশ্লেষক। তিনি বলেন, ‘কিন্তু তারা এখন এটি করতে ইচ্ছুক বলে মনে হচ্ছে না।’
ও’ব্রায়েনের মতে, যুদ্ধের তিব্রতা বাড়াতে হলে রুশ সেনাবাহিনীকে গোড়া থেকে পুনর্গঠন করতে হবে। তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে ভয়ংকর যা, তা হলো রাসায়নিক, জৈব বা পারমাণবিক অস্ত্রের হামলা চালাতে পারে রাশিয়া। তাকে হয় আগ্রাসন কমাতে বা বাড়াতে হবে। এখন যেভাবে চলছে, `তা হতে পারে না।
from প্রথম আলো ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন