জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা: পেপারবুক তৈরির নির্দেশ - পূর্বকন্ঠ

শিরোনাম :

মঙ্গলবার, ৫ এপ্রিল, ২০২২

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা: পেপারবুক তৈরির নির্দেশ

ঢাকা: জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় দণ্ডিত কারাবন্দি আসামি ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার সহকারী একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খানকে জামিন দেননি হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আদালত আগামী দুই মাসের এ মামলার আপিল শুনানির জন্য পেপারবুক (মামলার বৃত্তান্ত) তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন।

সোমবার (৪ এপ্রিল) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. আমিনুল ইসলাম। দুদকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আন্না খানম কলি।

পরে এ বিষয়ে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, ‘খালেদা জিয়া এবং জিয়াউল ইসলাম মুন্না এ মামলায় ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা মোতাবেক নির্বাহী আদেশে দণ্ড স্থগিত করার পর মুক্তি পান। কিন্তু মনিরুল ইসলাম খান এখনও কারাবন্দি আছেন। তিনি জামিন চেয়েছেন। আদালত জামিন না দিয়ে দুই মাসের মধ্যে আপিল শুনানির জন্য পেপারবুক প্রস্তুতের নির্দেশ দিয়েছেন। পেপারবুক প্রস্তুত হলে এ মামলায় খালেদা জিয়ার আপিলও একসঙ্গে শুনানির জন্য আবেদন করব।’

২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বিচার শেষে ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের সাত নম্বর কক্ষে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান (বর্তমানে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি) জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। একইসঙ্গে তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই সাজা হয়েছে মামলার অপর তিন আসামিরও।

দণ্ডপ্রাপ্ত অপর তিন আসামি হলেন- সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র প্রয়াত সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। মনিরুল ইসলাম খান ২০১৮ সালের ১৪ অক্টোবর থেকে কারাগারে রয়েছেন।

যদিও পলাতক হারিছ চৌধুরী ছাড়া অন্য আসামিরা হাইকোর্টে আপিল করেন।



from Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment https://ift.tt/mU6PYWH

কোন মন্তব্য নেই: