খোরশেদ আলম, ঝিনাইগাতী প্রতিনিধি : আকাশে মেঘ জমলেই ঝিনাইগাতী উপজেলার কান্দুলী আশ্রয়ন প্রকল্পের কুঞ্জবিলাসের বাসিন্দাদের চোখে ঘুম নেই। বৃষ্টি হলেতো কথাই নেই, জেগেই কাটাতে হয় দিন রাত। ভাঙ্গাঘরে রোদ বৃষ্টিতে ভিজে মানবেতর জীবনযাপন করছেন কুঞ্জবিলাসের বাসিন্দারা। তারা জরুরি ভিত্তিতে বিধ্বস্ত ঘরগুলো সংস্কার ও সম্প্রসারনের দাবি জানান।
১১৯৯ সালে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার ধানশাইল ইউনিয়নের কান্দুলী গ্রামে এ আশ্রয়ন প্রকল্পটি গড়ে তোলা হয়। সেনাবাহিনীর ২৭ এসটি ইউনিট ব্যাটালিয়ন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে। কুঞ্জবিলাস নামে এ আশ্রয়ন প্রকল্পে ৬ টি ব্যারাকে ৬০ জন গৃহহীন ছিন্নমুল ভুমিহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়। বর্তমানে এ কুঞ্জবিলাসে ছোট-বড় নারী পুরুষ ও শিশু - কিশোরসহ প্রায় ২শ লোকের বসবাস। এখানে বসবাসকারিরা প্রায় সবাই দিনমজুর। অভাব অনটন দুঃখ আর দুর্দশাই এ আশ্রয়নের বাসিন্দাদের নিত্যসাথি। ‘আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর হস্তান্তরের পর থেকে গত ২৩ বছরেও ঘরগুলো আর সংস্কার- সম্প্রসারন করা হয়নি।’
দরিদ্র পরিবারের সদস্যদের পক্ষে ঘরগুলো আর সংস্কার ও সম্প্রসারন করা সম্ভব হয়নি। ফলে ঘরগুলো বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পরেছে বহু আগে থেকেই। এখানে ৬ টি নলকূপ দেয়া হয়েছিল। তা অকেজো। নিচু স্থানে ঘর নির্মাণ করায় সামান্য বৃষ্টি হলে ও বর্ষাকালে ঘরগুলোতে থাকে হাটু পানি। এ সময় কুঞ্জবিলাসের বাসিন্দাদের দুর্ভোগের সীমা থাকে না। সরেজমিনে অনুসন্ধানে গিয়ে আশ্রয়নের বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। আশ্রয়নের সাধারণ সম্পাদক মো, দুদু মিয়াসহ অন্যান্যরা আক্ষেপের সুরে বলেন,আকাশে মেঘজমলেই তাদের ঘুম হারাম হয়ে যায়।
শুধু তাই নয় বৃষ্টিতে ভিজে ছেলে- মেয়ে নিয়ে দুর্ভোগের সীমা থাকে না। ধানশাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বলেন বহু আগে থেকেই ঘরগুলো বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পরেছে। তিনি কুঞ্জবিলাসের বাসিন্দাদের দুর্ভোগ লাগবে ঘরগুলো সংস্কার ও সম্প্রসারনের জন্য সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। ‘উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারুক আল মাসুদ বলেন সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ঘরগুলো সংস্কার ও সম্প্রসারনের বিষয়ে ইতিমধ্যে তদন্ত করা হয়েছে। ঘরগুলো সংস্কারের বিষয়ে প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানান।'
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন