ঢাকা: ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কী ভুলিতে পারি’— ভাষা শহিদদের নিয়ে লেখা অমর এই বাণীতে একুশের প্রথম প্রহরে শ্রদ্ধার ঢল নামে শহিদ মিনারে নামে। সেই শহিদ মিনারে শেষবারের মতো এলেন অমর পঙ্ক্তির রচয়িতা ভাষা সংগ্রামী, প্রখ্যাত সাংবাদিক ও কলাম লেখক গাফফার চৌধুরী। লাল-সবুজের পতাকায় মোড়ানো গাফফার চৌধুরীর কফিন রাখা হলো শহিদ বেদীতে। শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় সিক্ত হলেন সর্বস্তরের মানুষের।
শনিবার (২৮ মে) দুপুর ১টার দিকে তার মরদেহ কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে পৌঁছায়। পরে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির পক্ষে তাদের সামরিক সচিব, জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরিন শারমিন, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ও আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শহিদ মিনারে তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি ও সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে দেশে পৌঁছায় আবদুল গাফফার চৌধুরীর মরদেহ দেশে এসেছে। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তার মরদেহ গ্রহণ করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। বাংলাদেশ হাইকমিশন লন্ডনের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে তার মরদেহ দেশে আনা হয়।
কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ৩টা পর্যন্ত সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য রাখা হবে তার মরদেহ। সাড়ে ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদে তার জানাজা হবে। বিকেল ৪টায় গাফফার চৌধুরীর লাশ নিয়ে যাওয়া হবে জাতীয় প্রেস ক্লাবে। সেখান থেকে সাড়ে ৪টায় মিরপুরের শহিদ বুদ্দিজীবী কবরস্থানে তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে। পরে সেখানেই তাকে দাফন করা হবে।
আবদুল গাফফার চৌধুরী ১৯ মে লন্ডনের একটি হাসপাতালে মারা যান। দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি।
The post শহিদ মিনারে শ্রদ্ধায় শেষ বিদায় গাফফার চৌধুরীকে appeared first on Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment.
from জাতীয় – Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment https://ift.tt/c3rnsyq