‘সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ’ - পূর্বকন্ঠ

শিরোনাম :

বৃহস্পতিবার, ১৬ জুন, ২০২২

‘সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ’

ঢাকা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, 'টাকা প্রত্যাহারিত হয়েছে ঠিক কিন্তু পদ্মা সেতু বন্ধ করতে পারেন নাই। পারা সম্ভব হয় নাই। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার ক্ষেত্রে সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ।'

বুধবার (১৬ জুন) সংসদে প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সুখী সমৃদ্ধ শোষণমুক্ত বৈষম্যহীন সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন জাতির পিতা। তারই সুযোগ্য কন্যা জাতির পিতার শান্তিকামী দর্শন সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়- বুকে ধারণ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার সকল কূটনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বিবর্তনশীল আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রীর দুরদর্শী ও বিচক্ষণ নেতৃত্বে বাংলাদেশের জন্য একটি সমন্বিত ও কার্যকর পররাষ্ট্রনীতি পরিচালনার মাধ্যমে বিশ্ব পরিমন্ডলে বাংলাদেশের স্বার্থ সংরক্ষণ ও ভাবমূর্তি সমুন্নতকরণে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বদ্ধপরিকর।

তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে জলবায়ু পরিবর্তন, অভিবাসন, টেকসই উন্নয়ন অভিষ্ঠ লক্ষ্য, রোহিঙ্গা ইত্যাদি ইস্যুতে বাংলাদেশ বহুপাক্ষিক কূটনৈতিক কার্যক্রম অধিকতর দৃশ্যমান। বিবিসি তাদের প্রতিবেদনে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বিশ্বের বিশেষ অর্জন করায় ইউনাইটেড নেশনস সাসটেনেইবল ডেভলপমেন্টে নেটওয়ার্ক প্রধানমন্ত্রীকে বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নেতা হিসেবে গ্রহণ করে বাংলাদেশকে সম্মানিত করেছেন। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে এবং স্বধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের অংশ হিসেবে ঢাকায় দুই দিনব্যাপী বিশ্ব শান্তি সম্মেলন ২০২১ আয়োজন করা হয়। বঙ্গবন্ধুর শান্তিকামী দর্শনের আলোকে সামাজিক অন্তবর্তীর মাধ্যমে শান্তিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এই মূল প্রতিপাদ্য সামনে রেখে সম্মেলনে গৃহীত ১৬তম ঢাকা ঘোষণায় সব রকম সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা করা হয়।

সব ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা ও মূল্যবোধ সমুন্নত রাখার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা সুখী সমৃদ্ধশালী সোনার বাংলা বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবে রূপদানের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অর্থনৈতিক কূটনৈতিক কার্যক্রমকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রাপ্ত ব্যয় খাত হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পিপিই, সবজি রফতানিসহ বিভিন্ন ধরণের অপ্রচলিত পণ্য রফতানির উদ্যোগ নেওয়া হয়। তাছাড়া কোভিডের সময় আরএমজি রফতানি সচল রাখা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কারণে সম্ভব হয়েছে। শ্রম বাজার সম্প্রসারণ ও নতুন শ্রমবাজার অনুসন্ধানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করছে। কোভিড ১৯ সত্ত্বেও দক্ষিণ এশিয়ায় অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে কর্মী প্রত্যাহার কম হয়েছে। করোনা অতিমারির কারণে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে দক্ষিণ কোরিয়া, জর্ডান, মালদ্বীপ, লেবাবন, মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, গ্রিস, সৌদি আরব, বাহরাইন ও কাতারে কর্মী গ্রহণ ও গমন প্রক্রিয়া সচল রাখা হয়েছে।,

ইতোমধ্যে নতুন শ্রমবাজার হিসেবে রোমানিয়ায় কর্মী পাঠানো শুরু হয়েছে। সার্বিয়ায় শ্রম বাজার সম্প্রসারণ প্রক্রিয়াধীন আছে।,

from Sarabangla https://ift.tt/w1LouDI

কোন মন্তব্য নেই: