বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস বহুকাল থেকেই ঐতিহ্যের স্বাক্ষর বহন করলেও চলমান রাজনীতিতে সেটি রহস্যাবৃত। বিশ্বায়নের স্পর্শে সমগ্র পৃথিবীর ন্যায় বাংলাদেশের তৃনমুলও আজ এতটাই অগ্রজ ভূমিকায় অবতীর্ণ, যা শুধু অজানাকে জানাই নয় বরং কোন কোন ক্ষেত্রে চরম অসভ্যতাকেও স্পর্শ করেছে।
সকালে ঘুম ভাঙ্গার পর প্রয়োজনীয় কাজ শেষে মোবাইল ফোনের ফেইসবুকে ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচারিত "কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচীর আওতায় উপকার ভোগীদের সিমকার্ড জব্দ"শিরোনামে সংবাদটি দিনের শুরুটাকে কিঞ্চিত ম্লান করে দিয়েছে।,
সদ্য প্রস্ফুটিত রাজনীতির মঞ্চে আর্বিভূত নির্বাচিত একজন নবাগত জনপ্রতিনিধির বিষয়ে এমন নেতিবাচক প্রচারনায় আগ্রহীদের ভূমিকা আমাকে বিস্মিত করেছে। বর্তমানে "রাষ্ট্র"নাগরিকের সুরক্ষায় যে সামাজিক বেষ্টনী তৈরি করেছে সেটি এতটাই ডিজিটালাইজেশন ও মজবুত,-যেটির প্রক্রিয়া ভেদ করে "জব্দের" মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি খুবই কঠিন।,
তারপরও অভিযোগে বলা হচ্ছে, সিমকার্ড জব্দ করে উপকার ভোগীদের অর্থ তুলে নিচ্ছেন একজন ইউপি চেয়ারম্যান।এখানে উন্নয়ন কর্মকান্ড সম্পাদনের সাথে জড়িত পরিষদ,মনিটরিং কর্মকর্তা বা উন্নয়ন সহযোগী অন্যদের কথা মোটেও বলা হচ্ছে না। এখানে সুপ্রাচীন কাল থেকে প্রতিষ্টিত একটি বক্তব্য কোড করা খুবই জরুরি "ব্যক্তির হিংসা চরিতার্থ করার অপচেষ্টা সর্বদাই মূল কর্ম সম্পাদনকে ব্যাহত করে"।,
এখানে যদি সেটি না হয়ে থাকে তাহলে এমনটি কেন হলো? প্রচারনায় "জব্দ" শব্দটিকে যেভাবে প্রয়োগে আনা হয়েছে সেখানে ভিত্তিহীন না বললেও নিঃসন্দেহে উদ্দেশ্য প্রনোদিত বলা যাবে। কেননা,অসৎ উদ্দেশ্য কখনো তার কাংখিত লক্ষে্ পৌঁছাতে পারে, এমনটি সমাজ বিশ্বাস করে না। কারন রাষ্ট্র ও সরকার উভয়ই মনে করে এই ভূখন্ডে বসবাসরত সমাজের সকল নাগরিক তার অধিকার আদায়ে সচেতন ও সোচ্চার।,
যেখানে সরকার অবাদ তথ্য প্রদানে দৃঢ় অঙ্গীকারবদ্ধ সেখানে প্রতিকারে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ নিশ্চিত করে প্রতিরোধমুলক ব্যবস্হা না নিয়ে এমন প্রচারনা আরেকজনের অধিকারকে ক্ষুন্ন করতে পারে।,
এক্ষেত্রে প্রতিহিংসার চেয়ে প্রতিরোধের ভূমিকায়ই উত্তম ও বীরত্বপুর্ন ছিলো।কিন্তু সেটি না করে,যেটি করা হচ্ছে সেটি অনুচিত এবং কাপুরুষোচিত।
লেখক : মোঃ এমদাদুল হক বাবুল
সভাপতি
বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন
পূর্বধলা উপজেলা শাখা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন