বগুড়া: শহরের বৃন্দাবন পাড়ায় যাতায়াত রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় প্রায় দুই বছর ধরে একটি পরিবার প্রায় অবরুদ্ধ অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে। প্রতিদিন তারা বাড়ি থেকে বের হওয়ার জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাশের বাড়ির ছাদে কাঠের পাটাতন ও সিমেন্টের স্লাবের ওপর দিয়ে যাতায়ত করেন। পুলিশসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিকে জানিয়েও দুর্ভোগ ও অবরুদ্ধ পরিবারটির সমস্যার সমাধান হয়নি।,
আর স্বামী নিরুদ্দেশ হওয়ার পর থেকে অসহায় অবস্থায় রয়েছেন। ইতোমধ্যে একমাত্র মেয়েকে বিয়ে দেন। আর টিনের ঘরের স্থলে পাকাবাড়ি করা শুরু করেন তারা। তবে এই নির্মান কাজের মাঝপথেইে ২০২০ সালে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে প্রাচীর তুলে দেন প্রতিবেশি তিন শরিক। এতে তারা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। বাড়ির পিছন অংশে কবরস্থান। উত্তর পাশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের আবাসিক কোয়ার্টার, সামনের অংশে চলাচলের রাস্তার ওপর প্রাচীর তুলে দেওয়া।,
দক্ষিণে প্রতিবেশী খন্দকার মাহবুবুর রহমানের বাড়ি। এখন সেই বাড়ির তৃতীয় তলার ছাদের ওপরে বসানো কাঠের পাঠাতন ও স্লবের ওপর দিয়ে ক্যামেলিয়া, মেয়ে তাছনিম উলফাত, জামাই আমিরুল ইসলাম, মেয়ের শিশু সন্তান আব্দুল্লাহ আল নুর(৮) ও ক্যামেলিয়ার ছেলে আরাফাত আলম রাদিফের চলাচলের একমাত্র পথ।,
শিশু আবদুল্লাহ স্কুলে যান তৃতীয়তলার এই ঝুকিপুর্ণ পাটাতন পার হয়ে অন্যের বাড়ির ভিতর দিয়ে। যার বাড়ির ছাদের ওপর দিয়ে অবরুদ্ধ পরিবারটি ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করেন সেই মাহবুবুর রহমানের স্ত্রী নিলুফা বেগম জানালেন, মানবিক কারণে তিনি নিজের বাড়ির ভিতর দিয়ে ছাদে ওঠার অনুমতি ও পাটাতন দিয়েছেন। তবে এটির স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন। ক্যামেলির ৫ সদস্যের পরিবারটি অমানবিক ভাবে অবরুদ্ধ অবস্থায় জীবন যাপন করছেন।,
এ বিষয়ে পরিবারটি পুলিশ ও এলাকার কাউন্সিলরসহ গন্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে একাধিকবার শরণাপন্ন হয়েও লাভ হয়নি। এ ব্যাপারে দুই নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তৌহিদুল ইসলাম বিটু জানিয়েছেন, তিনি বিষয়টি জানেন। একাধিকবার সেখানে গিয়েছেন। প্রাচীরের বিষয়টি সত্য। পৌর মেয়র বিষয়টি তদন্ত করার জন্য তাকে বলেছেন। তিনি তদন্ত করে প্রতিবেদন দিবেন এবং বিষয়টির সমাধানেরও চেস্টা করছেন।,
অপর দিকে ক্যামলিয়ার প্রবিবেশি(চাচাত দেবর) শরিক ফারুক হোসেন জানান, রাস্তা দেওয়ার কোন লিখিত অঙ্গীকার নেই। এ বিষয়ে বগুড়ার পুলিশ সুপার সুপার সুদীপ কুমার জানান, বিষয়টি তাদের জানা নেই। পরিবারটি তাদের সঙ্গে যোগাযেগ করলে আইনগত সহায়তা দেও হবে।,
The post appeared first on Sarabangla http://dlvr.it/SZ0LVB
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন