শফিকুল আলম শাহীন:নেত্রকোনা পল্লী বিদ্যুত সমিতির পূর্বধলা জোনাল অফিস দায়সারাভাবে অনুমান নির্ভর বিল প্রস্তুতের কারণে দিশেহারা হয়েছে গ্রাহকেরা।
এক দিকে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সাধারণ মানুষ ঘরবন্দি ও কর্মহীন হয়ে পড়েছে। নিন্ম থেকে উচ্চবিত্ত পর্যন্ত সবাই যখন বেকার জীবন অতিবাহিত করছে, তখন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এমন বিমাতাসূলভ আচরণে গ্রাহকদের মাঝে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

এআইখান আমিন নামে এক গ্রাহক জানান, মার্চ মাসে তিনি তার ঘরের বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করেছেন ১২৭৮ টাকা। এপ্রিল মাসে প্রাপ্ত বিলের কাগজে তার বিল এসেছে ২৩৪০টাকা।
এ ধরণের অসংখ্য গ্রাহকের একই অভিযোগ। গ্রাহকদের অভিযোগ, ক্ষোভ আর অসন্তোষের ব্যাপারে জানতে চাইলে নেত্রকোনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পূর্বধলা শাখার ডিজিএম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে বিদ্যুৎকর্মীরা গ্রাকদের বাড়ি যেতে পারেনি।
তবে গত মাসের বিলের সাথে সামঞ্জস্য করে বিল প্রস্তুত করা হয়েছে। এতে কিছু গ্রাহকের বিল কম ও কিছু গ্রাহকের বিল অতিরিক্ত হতে পারে। কোন অসঙ্গতি থাকলে পরবর্তীতে তা সংশোধন বা সমন্বয় করা হবে।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এই কর্মকর্তার এমন দাবি মানতে নারাজ সাধারণ গ্রাহকেরা। সরকার যেখানে অফিস আদালত বন্ধ ঘোষণা করেছে, গ্রাহকদের সুবিধার জন্য বিলম্ব মাশুল মওকুফ করার ঘোষণা করেছে, সেখানে মরার উপর খাড়ার ঘাঁ না বসিয়ে অনুমান নির্ভর বিল স্থগিত রাখার দাবি জানায় তারা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন