{getBlock} $results={3} $label={রাজনীতি} $type={headermagazine}

⦿ এই মাত্র পাওয়া

আজ খ্রিস্টাব্দ,

ইচ্ছে করলেই পাওয়া যায়না সেই খেজুরের রস, নেই সারি সারি গাছ

তোবারক হোসেন খোকন, দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) : নেত্রকেনার দুর্গাপুরে এখন আর আগের মতো নেই খেজুর গাছ। ইচ্ছে করলেই পাওয়া যায়নি সেই খেজুরের রস। এক সময় মানুষের বাড়িতে, সড়কের পাশে সারি সারি খেজুর গাছ দেখা যেত। শীতকাল আসতেই গাছ কেটে হাঁড়ি বসিয়ে ভোরে রস বিক্রি করত। এখন গাছ নেই বললেই চলে। খেজুর গাছ থাকলেও তা আগের মতো সবল নয়। গাছগুলো থেকে আগের মতো রস পড়ে না। বুধবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমনটাই দেখা গেছে। 

গোপালপুর গ্রামের খেজুর গাছ কাটক মোসলেম উদ্দিন বলেন, আগে পরিবেশ ভালো ছিল, প্রতিটি ফল মূলের গাছে ছিল ফুলে ফলে ভরা। এলাকার পরিবেশ দূষণের ফলে, ফল মূলের গাছে আগের মতো ফল ধরে না। আগে সকালে হাঁড়ি নামিয়ে রস নিয়ে যাওয়ার পরও গাছ থেকে ফোঁটা ফোঁটা রস ঝড়তে থাকত দুপুর পর্যন্ত। এখন রস ঝড়বে তো দুরের কথা সারা রাতে মাঝারি সাইজের কলসই ভরে না।

রস সংগ্রহকারী ফজলু মিয়া বলেন, ২০২০ সালেও ৪টি গাছ থেকে দৈনিক রস সংগ্রহ হতো প্রায় ৩০ কেজি। আর গত বছর এসে সংগ্রহ হচ্ছে ১৮ কেজি এবং এবছর সংগ্রহ করছি ৮ থেকে ১০ কেজি কেজি। তিনি আরও বলেন, পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর বিভিন্ন দূষণে গাছের শক্তি ও ভিটামিন কমে গেছে। আমার ৪টি গাছের পাশে গর্ত করে প্রতিদিন পানি দিয়ে গাছগুলো সবল রাখার চেষ্টা করছি। তার মতে আগে প্রচুর খেজুর গাছ ছিল এলাকায়, কিন্তু পরিবেশ দূষণ ও গাছের মালিকরা গাছগুলো লাকড়ি হিসেবে বিক্রি করে দেয়ায় খেজুর গাছ ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে। এক সময় প্রতি কেজি খেজুর রস বিক্রি হতো ২০ থেকে ৩০ টাকায়। বর্তমান সে খেজুরের রস ৭০ টাকা। অনেক জায়গাতে ১০০ টাকাও বিক্রি হচ্ছে। আগামী বৈশাখ মাস পর্যন্ত রস সংগ্রহ করা যাবে। 

উপজেলা কৃষি অফিসার মাহবুবুর রহমান বলেন, খেজুরের রসের সাথে বাঙ্গালী সংস্কৃতির একটি মিল রয়েছে। নানা কারনেই দিন দিন খেজুর গাছ গুলো হারিয়ে যেতে বসেছে। এ ঐতিহ্য ধরে রাখতে হলে সরকারি বে-সরকারি ভাবে খেজুর গাছ রোপনে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। ‘দুর্গাপুর এলাকার মাটি খেজুর চাষের উপযোগি। উপজেলা পর্যায়ে গাছ বিতরণ কালে খেজুর চারা প্রদানের জন্য উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানাবো’।


একটি মন্তব্য করুন

ads
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন