খালিয়াজুড়িতে কির্তনখলা বাঁধে ফাটল, সেচ্ছাশ্রমে বাঁধ রক্ষায় কৃষকের প্রানান্তর চেষ্টা - পূর্বকন্ঠ

শিরোনাম :

মঙ্গলবার, ৫ এপ্রিল, ২০২২

খালিয়াজুড়িতে কির্তনখলা বাঁধে ফাটল, সেচ্ছাশ্রমে বাঁধ রক্ষায় কৃষকের প্রানান্তর চেষ্টা

এ কে  এম  আব্দুল্লাহ, নেত্রকোনা: পাহাড়ী ঢলে নদ নদীর পানি বৃদ্ধি / বাঁধ ভেঙে যাওয়ার আশংকায় বোরো ফসলের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে দুশ্চিন্তায় হাওরের কৃষকরা উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ধনু নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে নেত্রকোণার খালিয়াজুড়ি উপজেলার কীর্তনখোলা বাঁধের ফাটলধরেছে।

ফসল রক্ষায় ফাটল সারাতে জেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড, উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিসহ হাওর অঞ্চলের শত শত কৃষকরা সেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে বাঁধ রক্ষায় দিনরাত কাজ করছে।

স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, সোমবার সন্ধার দিকে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ধনু নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় খালিয়াজুড়ি উপজেলার কির্তনখলার বাধের ফাটল ধরেছে। এছাড়াও কয়েকটি ফসলরক্ষা বাঁধ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক কাজি মোঃ আবদুর রহমানের নেতৃত্বে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এম এল সৈকত, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফখরুজ্জামান জুয়েল, কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ পরিচালক এফ এম মোবারক আলী, খালিয়াজুড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ এইচ এম আরিফুল ইসলামসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও শত শত কৃষক বাঁশ, চাটি, বালির বস্তাসহ বাঁধ রক্ষার বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে বাঁধ রক্ষার প্রানপন চেষ্টা করছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এম এল সৈকত জানান, কির্তনখোলা ও নাউটানা এলাকায় আশা বাঁধের ফাটল দেখা দিয়েছিল, তা আমরা মেরামত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ধনু নদির পানির বৃদ্ধি এখনও অব্যাহত রয়েছে, তবে বিপদসীমার দুই সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক কাজি মো. আবদুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন... খবর পেয়ে আমি পানি উন্নয়ন বোর্ড, কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা, উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ‘স্থানীয়দের সহযোগিতায় দির্ঘ পাঁচ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে বাঁধের ফাটল মেরামত  করা হয়েছে। আশা করছি বাঁধ আর ভাঙ্গবে না।’

কোন মন্তব্য নেই: