পূর্বধলায় ইউপি চেয়ারম্যানের সংবাদ সম্মেলন
নেত্রকোণার পূর্বধলা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে একই ইউনিয়নের সংরক্ষিত এক মহিলা সদস্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এনেছেন নানা অভিযোগ। দিয়েছেনপূর্বধলা (নেত্রকোণা) প্রতিনিধি : নেত্রকোণার পূর্বধলা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে একই ইউনিয়নের সংরক্ষিত এক মহিলা সদস্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এনেছেন নানা অভিযোগ। দিয়েছেন বিষপান করে মৃত্যুর হুমকী। প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনে করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান বুলবুল।
সংবাদ সম্মেলনে ইউপি চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান বুলবুল তাঁর লিখিত বক্তব্য পাঠ করে জানান, ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য নাজমা আক্তার দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও সাংবাদিকদের মাধ্যমে তাঁর বিরুদ্ধে নানা মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আসছেন। নাজমা আজ বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে সেটিকে তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হিসেবে প্রচার করছে।
তিনি আরও জানান, গত ২০২২ সালের ডিসেম্বরেও নাজমা আক্তার তাঁর বিরুদ্ধে একই ধরনের মিথ্যা অভিযোগ তুলেছিলেন, যার প্রমাণ না পাওয়ায় পরে অভিযোগ প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়। নাজমা আক্তার একটি মার্ডার মামলায় হুকুমদাতা হিসেবে অভিযুক্ত আসামী। তার চারিত্রিক বিষয় নিয়েও পরিষদের অন্যান্য সদস্যরা অবগত।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, পরিষদের বরাদ্দ থেকে কাউকেই বঞ্চিত করা হয়না। বরং নাজমা আক্তারকে অতিরিক্ত সুবিধা দেওয়া হয়।
পরিষদের অন্যান্য সদস্যরা জানান, নাজমা আক্তার সবচেয়ে বেশি সুবিধা পেয়েছেন। সাম্প্রতিক সময়ে সকল সদস্যকে ৬টি করে ভিজিডি কার্ড দেওয়া হলেও তাকে দেওয়া হয় ৭টি কার্ড। তাই তার এমন আচরণে তারা বিস্মিত।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে নাজমা আক্তার একটি ফেসবুক ভিডিও বার্তায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ভিজিডি কার্ড বিতরণে অনিয়ম, তাকে মানসিক নির্যাতন ও সামাজিকভাবে হেয় করার অভিযোগে এনে আত্মহত্যা করবেন বলে চেয়ারম্যানকে হুমকি দিয়ে বিষ পান করেন।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
পূর্বধলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রিজওয়ানা কবির বলেন, তিনি শুনেছেন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য নাজমা আক্তার বিষপান করেছেন। তাৎক্ষণিক তার খোঁজ খবর নিয়েছেন। বর্তমানে তিনি ময়মনসিংহ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে অনেকটা উন্নতি হয়েছে।
আর ভিজিডি কার্ড বিতরণে অনিয়মের কোনো অভিযোগ এখন পর্যন্ত তিনি পাননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নিবেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন