
এ বিষয়টি নিয়ে ১১ই মে এলাকাবাসী গৌরীপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবরে একটি অভিযোগ দায়ের করে।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে গিয়ে অভিযোগ কারিদের সাখে কথা বলে জানা যায়, স্থানীয় মাজেদুল কাউকে না জানিয়েই রেন্ট্রি গাছ কাটার উদ্যেশেই প্রথমে গাছের অধিকাংশ বড় বড় ডালপালা কাটার সময় স্থানীয়দের নজরে আসলে তারা গাছ কাটা বাধা দিলে, মাজেদুল বাধারমুখে তার লোকজন নিয়ে গাছের ডাল পালার কিছু অংশ বিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় রেখে বড় বড় ডালপালা নিজের বাড়িতে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক একেএম ফারুখ আহম্মদের কাছে মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি জানান, গাছের ডাল কাটার বিষয়টি স্কুলের দপ্তরী কাম প্রহরী শহীদুল ইসলাম মোবাইল ফোনে আমাকে জানিয়েছে আমি সাথে সাথে রামগোপালপুর ক্লাষ্টারের দায়িত্বে থাকা সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোজাহিদুল ইসলাম স্যারকে অবহিত করি পরে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির লোকজন নিয়ে একটি রেজুলেশন করা হয়েছে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত মাজেদুলের নিকট গাছের ডাল কর্তনের বিষয়ে মোবাইল ফোনে তার মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিবেদককে জানান, স্কুল কমিটির অনুমতি নিয়েই গাছ কেটেছি, সরকারী গাছ কাটার বিধান কি আপনার জানা আছে এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি মোবাইল ফোনটি কেটে দেন। এ বিষয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি আবুল হোসেন জানান, স্থানীয় ইউপি সদস্য ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য ফরিদ উদ্দিন সাহেব এটিও মোজাহিদ স্যারের সাথে আলাপ আলোচনা করেই গাছের ডাল কাটা হয়েছে। কাটার পরে রেজুলেশন করা হয়েছে কাটার আগে হয়নি। পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুল আজিজ জানান, স্কুল কিমিটিতে সিদ্ধান্ত হয়েছিল কমিটির সবাইকে নিয়ে গাছ কাটার, কিন্তু মাজেদুল কাউকে না জানিয়ে সে একাই গাছের ডালপালা কেটে ফেলছে।গাছ কাটার পরে এলাকায় জানাজানি হলে পরে স্কুল কমিটির লোকজন একটি রেজুলেশন তৈরি করে। অভিযোগের বিষয়ে মোবাইল ফোনে রামগোপালপুর ক্লাস্টারের দায়িত্বে থাকা সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোজাহিদুল ইসলামের নিকট এ বিষয়ে জানতে তিনি জানান, চেয়ারম্যান মেম্বারদের তালিকা যাচাই বাচাই নিয়ে ব্যস্ত আছি এ বিষয়ে পরে কথা বলব।
গাছের বড় বড় ডালপালা কাটায় হুমকির মুখে পড়েছে গাছ গুলি এবং সুষ্ট তদন্ত করে দোষীদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানায় স্থানীয় এলাকাবাসী।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন