বিশেষ প্রতিনিধি : নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় বিলের মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছে। শনিবার (৬ নভেম্বর) বিকালে উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের জুড়াইল গ্রামের বগাজান বিলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে আহতরা হলেন, জুড়াইল গ্রামের আবু ছালেক, শাহজাহান কবির, শিপন আহম্মেদ, সাইমুন, হাবিব, আহম্মদ মিয়া, মিনা আক্তার, সাহাবুল মিয়া, হিরণ মিয়া, জয়নবা আক্তার ও আশরাফুলসহ ৪০ জন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
এ ছাড়াও আহত ফরিদ, রিটন, আলম, রোমান, মামুন, হাদিস, নিদ্ধন, নাঈম, সোনা মিয়া, সুজন, আলি উসমান, সুজা, জাকির, হুমায়ুন, রাজন, নাজমা, টিটু, মামুন, আলতাব, রোমেজ আলীকে কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জুড়াইল গ্রামের বাসিন্দা আশরাফুল আলম নান্টু জানান, আমার বাবা ও প্রতিবেশী ওমর ফারুক ছোটনের নামে ওই বিলে সরকারি খাসজমি বন্দোবস্ত নেওয়া আছে। সেই জমিতে দেওয়া পাগার থেকে প্রতিপক্ষ সিদ্দিক, হারুন, সাফায়েত, হাবিবুল্লাহ, আজিজ সহ জামায়াত বিএনপি’র লোকজন তিন-চার দিন আগে জোর করে মাছ ধরে নিয়ে যায়।
এদিকে শনিবার আওয়ামী লীগ নেতা ওমর ফারুক ছোটনের ছেলে জোনাইদ বিলে মাছ ধরতে গেলে প্রতিপক্ষের লোকজন জোনাইদকে আটকে রেখে মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। খবর পেয়ে জোনায়েদের স্বজনরা উদ্ধার করতে গেলে প্রতিপক্ষের লোকজন দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এলোপাতাড়িভাবে আওয়ামী লীগ পরিবারের উপর হামলা চালায়। এতে করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ৪০ জন আহত হয়।
কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহনেওয়াজ জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
খবর পেয়ে কেন্দুয়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জোনাঈদ আফ্রাদ ও কেন্দুয়া থানার ওসি কাজী শাহ নেওয়াজ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে এক রাউন্ড ‘ফাঁকা গুলি’ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানায় পুলিশ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন