{getBlock} $results={3} $label={রাজনীতি} $type={headermagazine}

⦿ এই মাত্র পাওয়া

আজ খ্রিস্টাব্দ,

অনুপ্রবেশ অনুপ্রেরনার চেতনাকে বাধাগ্রস্ত করছে

গৌরবে উজ্জ্বল, ত্যাগ ও বেদনায় মহীয়ান যে মাসটি তাকে কেউ বলে অগ্নিঝরা মার্চ, কেউ বলে উত্তাল মার্চ, কেউ বলে স্বাধীনতার মাস।  ইতিহাসের মহাসাক্ষীর মহাসন্ধিক্ষনের এই মাসটি গুনতে গুনতে  শেষ হয়ে গেলো। তবে বছর ঘুরে এই মাসটি আবারও আসবে আমাদের মাঝে।

ঐতিহাসিক সত্যতায় এটি হচ্ছে  বাঙ্গালির সর্ববৃহৎ অর্জনের, ঐতিহ্যের এবং ইতিহাসের মহাসাক্ষীর মহাসন্ধিক্ষনের মাস। এই মাসেই ঘোষিত হয়েছিল বাঙ্গালির কাংখিত স্বাধীনতা, ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর বিখ্যাত ভাষণ--যেটি ইতিমধ্যে অর্জন করেছে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি-অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ওয়ার্ল্ড মেমোরি রেজিস্ট্রারে। ৭ই মার্চ,১৭ই মার্চ,২৬মার্চ বাঙ্গালীকে যতটা আনন্দানুপ্রানীত করে তার চেয়েও বেশি রক্তাক্ত করে ২৫ই মার্চের কালো রাত্রীর বর্বরতম গনহত্যায়।এটি  বাঙ্গালীকে কাদালেও আশাহত করেতে পারেনি--বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের গর্জনের অর্জন বাঙ্গালির প্রেরনা হয়ে বেচে আছে - বেচে  থাকবে অনন্তকাল--যোগাবে শক্তি, দেখাবে আশার আলো--সৃষ্টি হবে অভীষ্ট লক্ষে পৌঁছার সঠিক পথ। তাইতো মহাকাব্যের কবিতাখানির অমৃতবাণী বাঙ্গালীকে যুগিয়েছে অমিয়  সাহস,দিয়েছে শক্তি,নিয়েছে প্রাণ,দিয়েছে স্বাধীনতা।এটিই মার্চের শিক্ষা,শক্তি,চেতনা,আর বিশ্বাস।

এইখানে দাঁড়িয়ে বাংলার সাথে "দেশ" যুক্ত হয়ে হলো "বাংলাদেশ"। যেটি কেউই পারেনি - চেষ্টা করছে অনেকেই-পেরেছে মাত্র  একজন-তিনিই বাংলার বঙ্গবন্ধু। বাঙ্গালির অহংকার আজ বিশ্ববন্ধু-তিনিই হলেন বাংলাদেশের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব।যেখানে হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙ্গালী বঙ্গবন্ধুর আদর্শই আজ বাঙ্গালীর প্রেরনা হওয়া উচিত সেইখানে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সাথে সাংঘর্ষিক মানুষগুলোর মধ্যে একজন ১৪টি নাশকতা মামলার আসামি বিএনপি নেতা আব্দুল হাই এখন যশোরের  মনিরামপুর উপজেলার চালুয়াহাট ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক! আওয়ামী লীগের  সভায় দাড়িয়ে বক্তব্যে তিনি বলছেন "দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া উন্নয়ন করে দেশ ভরে ফেলছে! এরকম অনাদর্শিক রাজনীতির অনুপ্রবেশ আওয়ামী লীগকে রক্তাক্ত করছে অহরহ। বিএনপি, জাতীয় পার্টির স্বাদ নিয়ে আওয়ামী লীগের কর্মীর দেহ রক্তাক্ত করে সেই রক্তের দাগ শুকাতে না শুকাতেই আবারো রং পাল্টে আওয়ামী লীগের নেতা বনে প্রতিশোধের হিংস্রতায় গর্বের অর্জন মার্চকে করছে রক্তাক্ত। 

এই রক্তাক্ত মার্চের অর্জনকে ম্লান করে আদর্শিক চিন্তাগুলোকে হত্যা করে জামাত,জাতীয় পার্টি,বি,এন,পি  কৌশলে রাতারাতি আওয়ামী লীগার সেজে সেই রক্তমাখা হাতে আওয়ামী নিধনে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। রাষ্ট্রক্ষমতায় আওয়ামী লীগ আজ অনুপ্রবেশকারী বর্হিশত্রুর আক্রমনের স্বীকার দিকবেদিক জ্ঞানশুন্য হয়ে আদর্শিক জায়গা থেকে বিচ্যুত হচ্ছে। তাই আদর্শিক জায়গায় দাড়িয়ে সকল কর্মকান্ডের পর্যবেক্ষন অতীব জরুরি।অন্যথায় অপশক্তির অনুপ্রবেশই আদর্শিক কর্মী বিনাশ হওয়ার সম্ভাবনাকে দৃশ্যমান করছে।

লেখক: মোঃ এমদাদুল হক বাবুল, সভাপতি বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন ও প্রভাষক, ইতিহাস বিভাগ

পূর্বধলা সরকারি কলেজ। 

একটি মন্তব্য করুন

ads
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন