পূর্বধলায় কোরবানির হাটে আসবে জমিদার, দাম হাঁকাচ্ছে ৭ লাখ
নেত্রকোণার পূর্বধলায় এবার কোরবানির পশুর হাট কাঁপাবে জমিদার। ১ হাজার কেজি ওজনের সুঠাম দেহের এই বিশালাকৃতির ষাঁড় গরুটি দেখতে প্রতিদিনই উপজেলার ধলামূলগাঁপূর্বধলা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি : নেত্রকোণার পূর্বধলায় এবার কোরবানির পশুর হাট কাঁপাবে জমিদার। ১ হাজার কেজি ওজনের সুঠাম দেহের এই বিশালাকৃতির ষাঁড় গরুটি দেখতে প্রতিদিনই উপজেলার ধলামূলগাঁও ইউনিয়নের জামুদ গ্রামের হাজী মোহাম্মদ আব্দুল হেকিমের বাড়িতে ভিড় করছেন বিভিন্ন বয়সের অসংখ্য কৌতূহলী নারী-পুরুষ।
আসন্ন ঈদ-উল আযহাকে সামনে রেখে সবার দৃৃষ্টি কাড়ছে ১ টন (১০০০ কেজিরও বেশি ওজনের) সুঠাম দেহের পাঁচ বছর বয়সী ৬ দাঁতের বিশালাকৃতির কালো-বাদামী মিশ্র রঙের প্রলেপ দেওয়া শাহীওয়াল জাতের ষাঁড়টি।আশ্চর্যের বিষয় ষাঁড়টির মাথায় রয়েছে হালকা সাদা রঙের জমিদারি মুকুট, যেন একেবারে নামের সার্থকতা প্রমাণ করে দেয়। আর জমিদারকে বিক্রি করতে দাম হাঁকা হচ্ছে ৭ লাখ টাকা।
কথা হয় জমিদারের মালিক ৭২ বছর বয়সি হাজী মোহাম্মদ আব্দুল হেকিমের সাথে। তিনি পূর্বকন্ঠকে জানান, শাহীওয়াল জাতের এই গরুটি তার গোয়ালের। গরুটিকে দীর্ঘ পাঁচ বছর যাবত ভালোবেসে সন্তানের মতো লালন-পালন করেছেন তিনি।
সম্পূর্ণ অর্গানিক উপায়ে বড় করা গরুটিকে কোনো ইনজেকশন বা কৃত্রিম মোটাতাজাকরণে পরিপুষ্ট করা হয়নি। ষাঁড়টিকে প্রতিদিন শুকনো খড়, ভূসি ও ১ কেজি করে গুটি জাতীয় খাদ্য খাওয়ানো হয়। এতে দৈনিক খরচ হয় গড়ে ৫শ' টাকার মতো।
গত বছরও কোরবানির বাজারে গরুটি তোলা হয়েছিল। তবে প্রত্যাশিত দাম না পাওয়ায় সেবার বিক্রি করেননি মালিক। দীর্ঘ দিনের পরিশ্রম আর মমতার ফল হিসেবে এবার কোরবানির হাট জমিদার কাঁপাবে বলে প্রত্যাশা করছেন স্থানীয়রা।
জমিদার ছাড়াও হেকিমের গোয়ালে আরও আটটি দেশীয় জাতের ষাঁড় ও গাভী রয়েছে, সেগুলোকেও ঈদ-উল আযহার বাজারে তোলার প্রস্তুতি চলছে।
উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. এমএমএ আউয়াল তালুকদার বলেন, ব্যক্তি পর্যায়ে ছাড়াও এবার উপজেলার ২শ'৫০টি খামার থেকে ঈদের বাজারে গরু আসবে। এবছর কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে ২৪হাজার ২শ' ২৭টি পশু। আর আমাদের চাহিদা রয়েছে ২১ হাজার ৪শ' ৫০টি। ফলে চাহিদা মিটিয়ে অন্তত ২হাজার ৭শ' ৭৭টি পশু উদ্বৃত্ত থাকবে, যা রাজধানী ঢাকাসহ আশপাশের জেলায় সরবরাহ করা যাবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন