{getBlock} $results={3} $label={রাজনীতি} $type={headermagazine}

আজ ,

⦿ এই মাত্র পাওয়া

পূর্বধলায় ভিডব্লিউবি ভাতার তালিকায় অনিয়মের অভিযোগ

নেত্রকোনার পূর্বধলায় মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের অতি দরিদ্র মহিলা ভাতা (ভিডব্লিউবি) কর্মসূচিতে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের উপকারভোগীদের তালিকায় ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতি

পূর্বধলা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি : নেত্রকোনার পূর্বধলায় মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের অতি দরিদ্র মহিলা ভাতা (ভিডব্লিউবি) কর্মসূচিতে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের উপকারভোগীদের তালিকায় ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

প্রকাশিত তালিকায় শতকরা ৪০% এর অধিক বিত্তবান ব্যক্তি ও আওয়ামী লীগ নেতার পরিবার এবং তাদের স্বজনদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

এনিয়ে এলাকায় দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। বঞ্চিত হতদরিদ্র নারীদের মাঝে বিরাজ করছে ক্ষোভ ও হতাশা। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার ধলামূলগাঁও ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের দত্তকুনিয়া গ্রামের রুক্ষু মিয়া তিনি স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। জমাজমিও বেশ আছে। কিন্তু এবারের ভিডব্লিউবি তালিকায় তালিকাভূক্ত হয়েছেন তার স্ত্রী পারভীন আক্তার।

একই ওয়ার্ডের  জুরাম গ্রামের স্থানীয় ওয়ার্ড ওলামা লীগের সভাপতি মো. ওবায়দুল হক  তার স্ত্রী সালমা তিনিও বিশেষ কৌশলে তার নামও তালিকাভূক্ত করেছেন।

তবে এ প্রক্রিয়ার কোনো কিছুই জানেন না ইউনিয়ন পরিষদ কমিটি, এমন দাবী করে স্থানীয় ইউপি সদস্য আমিনুল ইসলাম জানান, যে দুই নারী কার্ড পেয়েছে তারা বিত্তবান ও আওয়ামী লীগ পরিবারের সদস্য।

ইউনিয়ন পরিষদ থেকে উপজেলায় যে তালিকা পাঠানো হয়েছে সেই তালিকায় পারভীন আক্তার ও সালমা'র নাম ছিল না। তারা কিভাবে কার্ড পেল বিষয়টি তাদের জানা নেই। 

মুঠোফোনে কথা হয় কার্ডধারী পারভীন আক্তারের স্বামী দত্তকুনিয়া গ্রামের রুক্ষু মিয়ার সাথে, পূর্বকন্ঠকে তিনি বলেন, আমি কোনদিন আওয়ামী লীগ করিনি। বর্তমানে আমি জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সাথে জড়িত । স্থানীয় অটোরিকশা চালক সোহাগের মাধ্যমে আমার স্ত্রীর কার্ডটি হয়েছে।

ওয়ার্ড ওলামা লীগের সভাপতি মো. ওবায়দুল হক বলেন, তিনি স্থানীয় বাজারে ব্যবসা করেন। এই সুবাদে লাউয়ারী গ্রামের অটোরিকশা চালক সোহাগের সাথে তার পরিচয়। একদিন সোহাগ তাকে জানালেন  ৩/৪হাজার টাকা হলে একটি কার্ড করে দিতে পারবে। তবে সোহাগ এখনও টাকা নেয়নি। সোহাগের কথায় আমি আমার স্ত্রীর নামে কার্ডটি করেছি। আমি ভুল করেছি। আপনারা এই কার্ডটি গরীব মাইনসেরে দিয়ে দেন। 

কথা হয়-অটোরিকশা চালক সোহাগের সাথে, তিনি নিজেকে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নেতা দাবী করে বলেন, তাদের জন্য কিছু কার্ড বরাদ্ধ থাকে। ওই দুটি কার্ডও তিনি দিয়েছেন। তবে তারা যে আওয়ামী লীগ করে এটা তিনি জানতেন না। এটা তার ভুল হয়ে গেছে। 

উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শারমীন শাহজাদী বলেন, কার্ডধারী নির্বাচনে কোনো অনিয়ম হয়নি। অনলাইনে স্কোর অনুযায়ী কার্ডধারী নির্বাচন করা হয়েছে। এর পরও যদি কেউ তথ্য গোপন করে থাকেন তা হলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সদ্য বিদায়ী নাজনীন আখতার বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে প্রকৃত দরিদ্ররা ভাতা থেকে যেনো বঞ্চিত না হয় সে বিষয়ে সবসময়ই সজাগ উপজেলা প্রশাসন।

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন