{getBlock} $results={3} $label={রাজনীতি} $type={headermagazine}

আজ খ্রিস্টাব্দ,

⦿ এই মাত্র পাওয়া

পূর্বধলায় মিথ্যা মামলায় হয়রানির প্রতিবাদে মানববন্ধন

নেত্রকোনার পূর্বধলায় জমির ধান কাটাকে কেন্দ্র করে বর্গাচাষীদের ওপর প্রতিপক্ষের হামলা ও হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

পূর্বধলা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি: নেত্রকোনার পূর্বধলায় জমির ধান কাটাকে কেন্দ্র করে বর্গাচাষীদের ওপর প্রতিপক্ষের হামলা ও হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার কালডোয়ার গ্রামের একটি ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসীর উদ্যোগে স্থানীয় কুমারখালী বাজারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে উপস্থিত ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, আগিয়া ইউনিয়নের কালডোয়ার গ্রামের শাফিউন চৌধুরীর কাছ থেকে একই গ্রামের আবুল কুদ্দুসের স্ত্রী রাজিয়া খাতুন প্রায় এক বছর আগে ৩৮ শতক জমি বর্গা নেয়। বোরো মৌসুমে চুক্তি অনুযায়ী জমির মালিক ও বর্গাচাষী ফসল সমানভাবে ভাগ করে নেন। তবে চলতি আমন মৌসুমে ধান কাটাকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হয় বিরোধ।

জমির মালিক শাফিউন চৌধুরীর নির্দেশে বর্গাচাষীর লোকজন ধান কাটতে গেলে শাফিউন চৌধুরীর প্রথম পক্ষের সন্তান মাহমুদুল হাসান চৌধুরী, মিলু চৌধুরী ও নাসরিন সুলতানা পিংকিসহ তাদের লোকজন বাধা দেন। পরে আবারও শাফিউন চৌধুরীর নির্দেশে বর্গাচাষীরা ধান কাটতে গেলে শাফিউন চৌধুরীর প্রথম পক্ষের সন্তানেরা তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে বর্গাচাষী রাজিয়া আক্তার, আব্দুল কদ্দুস ও জামাল মিয়া আহত হয়।

ঘটনার পর স্থানীয়ভাবে সালিশ বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় শাফিউন চৌধুরীর দুই পরিবার ধান সমানভাবে বণ্টন করে নেবে। কিন্তু  শাফিউন চৌধুরীর প্রথম পক্ষের সন্তানরা সালিশের সিদ্ধান্ত না মেনে নাসরিন সুলতানা পিংকি বাদী হয়ে গত ২৮ অক্টোবর বর্গাচাষীসহ তাদের স্বজনদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। মানববন্ধনে বক্তারা দাবি করেন, মামলাটি হয়রানিমূলক এবং এতে নিরপরাধ অনেককে জড়ানো হয়েছে। এ মামলায় একজন ইতোমধ্যে চার দিন কারাভোগ করেছেন। কয়েকজন জামিন নিলেও বাকিরা গ্রেপ্তার আতঙ্কে পলাতক জীবনযাপন করছেন।

মামলার আরেক আসামি মো. কামাল মিয়া মানববন্ধনে বলেন, “মামলার বাদীপক্ষ প্রভাবশালী। তারা ক্ষমতার প্রভাবে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হুমকি দিচ্ছেন।”

বর্গাচাষী রাজিয়া খাতুন বলেন, “আমার বৃদ্ধ স্বামীকে মারধর করা হয়েছে। পরে উল্টো আমাদের ওপর হামলার অভিযোগ এনে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। আমরা প্রশাসনের কাছে ন্যায়বিচার চাই।”

মামলার আরেক আসামি মো. মাফিজ মিয়া বলেন, “ঘটনার সময় সেখানে না থাকলেও আমাকে ও আমার পরিবারের চার সদস্যকে আসামি করা হয়েছে। সামনে আমার ছেলের বিয়ে, অথচ মামলার ভয়ে সে বাড়িতেও থাকতে পারছে না।”

সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে হয়রানিমূলক মামলা থেকে ভুক্তভোগীদের অব্যাহতি এবং হামলার প্রকৃত দায়ীদের বিচারের দাবি করেন বক্তারা।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত মিলু চৌধুরী ও তার বোন নাসরিন সুলতানা পিংকির সাথে কথা বললে তাদের ওপর আনিত অভিযোগ অস্বিকার করেন। 

একটি মন্তব্য করুন

ads
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন