{getBlock} $results={3} $label={রাজনীতি} $type={headermagazine}

⦿ এই মাত্র পাওয়া

আজ খ্রিস্টাব্দ,

পূর্বধলায় উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের এ কী হাল!

পূর্বধলা (নেত্রকোনা) সংবাদদাতা:
টিনশেডের জরাজীর্ন ঘর। দরজা-জানালাগুলো ভাঙ্গাঁ। ভাঙ্গাঁ জানালার ফাঁকে সূর্য়ের আবছা আলো পড়ছে, তবুও যেন মনে হয় ঘরের ভিতরটা ঘুটঘুটে অন্ধকার। জরাজীর্ন এই ঘরটি দেখে বোঝার উপায় নেই যে, এটি একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র। এটিই হচ্ছে নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার জারিয়া ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের  চিত্র।
শনিবার  সরেজমিনে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে দেখাযায় ভিতরে তেমন আসবাবপত্র নেই বললেই চলে। উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রটির কাছাকাছি  বিদ্যুৎ থাকলেও স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিতে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। ঘরের বাশেঁর সিলিং খসে পড়ছে। টিনের চাল ফুটো হয়ে আছে। স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আসা রোগীদের বসার কোনো ব্যবস্থা নেই। নেই টয়লেট । সার্জিক্যাল যন্ত্রপাতি থাকলেও রোগীর জন্য কোনো শয্যা বা বসার ব্যবস্থা না থাকায় সেগুলো যথাযত ভাবে ব্যবহার করা হয়না। অপর দিকে হাসপাতালের টিনসেটের ষ্টাফ কোয়াটারটিও অদ্যবদি মেরামত বা সংস্কার না করায় তা ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।
উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের দায়িত্ব প্রাপ্ত উপ-সহকারি কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডা. মাহাবুবুল ইসলাম বলেন, স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি শ্যামগঞ্জ-বিরিশিরি সড়ক ও জারিয়া রেল স্টেশানের পাশে অবস্থিত হওয়ায় প্রতিদিনই ছোটখাটো দূর্ঘটনায় আহত রোগীরা চিকিৎসার জন্য এখানে আসেন। এ ছাড়া ধোবাউড়া, দূর্গাপুর ও পূর্বধলা উপজেলা থেকে প্রতিদিন গড়ে ৮০ থেকে ১০০ জন রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন।  কিন্তু চাহিদা অনুযায়ী ওষুধ সরবরাহ কম। 
স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিতে একজন মেডিকেল অফিসার, একজন উপ-সহকারি কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার, একজন ফার্মাসিস্ট ও একজন অফিস সহায়কসহ মোট চারটি পদ থাকলেও দীর্ঘদিন যাবত মেডিকেল অফিসার ও ফার্মাসিস্ট এর পদ দুইটি শূণ্য থাকায় বাধ্য হয়ে উপ-সহকারি কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ও অফিস সহায়কেই আগত রোগীদের চিকিৎসা দিতে হয়। 
স্থানীয় বাসিন্দা হাবিবুর রহমান তালুকদার বলেন, স্বাধীনতার পরপর প্রতিষ্ঠিত স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিতে আজও উন্নয়নের কোনো ছোঁয়া লাগেনি। পুরোনো টিনের চালা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। যেকোনো সময় এটি ধসে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
জারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাজেদা খাতুন বলেন, স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি পূর্বধলা ও দুর্গাপুর এই দু’উপজেলার সীমান্তে হওয়ায় এখানে পূর্বধলা উপজেলার জারিয়া, ঘাগড়া, ধলামূলগাঁও ও দূর্গাপুর উপজেলার কাকৈরগড়া ইউনিয়নের লোকজন চিকিৎসা নিতে আসেন। তাই এখানে একটি পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল স্থাপন করা প্রয়োজন।
উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রটির দৈন্যদশার কথা স্বীকার করে পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এসএম মাহবুবুর রহমান বলেন, উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রটির অবস্থা আসলেই নাজুক। বিষয়টি এর আগে উপজেলা সমন্বয় কমিটি ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের সমন্বয় সভায় রেজুলেশনের মাধ্যমে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ অদ্যবধি কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। 

একটি মন্তব্য করুন

ads
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন