রাইসুল ইসলাম খোকন, সরিষাবাড়ী (জামালপুর): প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও জনবল না থাকায় জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা থেকে ‘বঞ্চিত’ হচ্ছেন রোগীরা। উপজেলার প্রায় পাঁচ লাখ মানুষের একমাত্র স্বাস্থ্য সেবাদানকারী সরকারি এ প্রতিষ্ঠানে প্রতিদিন চিকিৎসা নিতে আসেন প্রায় পাঁচ শতাধিক মানুষ।
৫০ শয্যা বিশিষ্ট এ হাসপাতালে ২৮টি ডাক্তারের পদ থাকলেও কর্মরত রয়েছেন মাত্র ১৪ জন। বাকি ১৪ টি পদে বিশেষজ্ঞ কোনো চিকিৎসক নেই। উপজেলার শিশুয়া এলাকার রেজাউল ইসলাম জানান, চিকিৎসা সেবা নিতে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। কয়েকজন চিকিৎসক আর কতই রোগী দেখতে পারেন। অনেকে চিকিৎসা না নিয়ে ফিরে যান।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সূত্রে জানা যায়, সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রথম শ্রেণির কর্মচারী ২৮ জনের স্থলে রয়েছেন ১৪ জন, দ্বিতীয় শ্রেণির ৩৭ জনের স্থলে রয়েছেন ২৯ জন, তৃতীয় শ্রেণির ১৬৪ জনের স্থলে রয়েছেন ১৪৬ জন ও চতুর্থ শ্রেণির ২৪ জনের স্থলে রয়েছেন ১০ জন। মোট ২৫৩ টি পদের মধ্যে ৫৪ টি গুরুত্বপূর্ণ পদ শূন্য রয়েছে। যার মধ্যে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের ১৪ পদই শূন্য। সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে।
কোনাবাড়ী এলাকার মাসুদুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, অপারেশন থিয়েটার ও আধুনিক যন্ত্রপাতি থাকা সত্তে¡ও অ্যানেসথেশিয়া ডাক্তার না থাকায় ছোট বড় কোনো অপারেশন এখানে করা হয় না। নিরুপায় হয়ে রোগীরা পার্শ^বর্তী কোনো ক্লিনিক বা জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে যেতে বাধ্য হয়। সেবা থেকে ‘বঞ্চিত’ হচ্ছে সরিষাবাড়ী উপজেলার মানুষ। তবে স্বাস্থ্য সেবা বঞ্চিতের বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. গাজী মোহাম্মদ রফিকুল হক বলেন, কাঙ্খিত সেবা বঞ্চিত হওয়ার বিষয়টি তিনি স্বীকার করে বলেন, কনসালটেন্ট লেভেলে সঙ্কট আছে। ইতোমধ্যে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। আমাদের কাছে শূন্যপদের তথ্য চাওয়া হয়েছিল আমরা তথ্য দিয়েছি।
‘জেলা সিভিল সার্জন ডা. প্রণয় কান্তি দাস বলেন, সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক ও জনবল সংকট রয়েছে। সামনে কিছু চিকিৎসক নিয়োগ হবে তখন চিকিৎসক বাড়ানো হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপমা ফারিসা বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ও জনবল সংকট বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে জানানো হবে। ’
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন