শাহজাহান কবির, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার অচিন্তপুর ইউপি হেডকোয়ার হইতে ভালুকাপুর বাজার রাস্তায় চেইঃ ৩৮০০. ৮০ মিটার জলবুরুঙ্গা নদীর উপর আরসিসি গাডার ব্রীজ নির্মাণে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে ৪৭০৭৯৩৮/৯৩২ টাকা ব্যয়ে জলবুরুঙ্গা নদীতে নবনির্মিত সেতুর জন্য বালু উত্তোলন করা হচ্ছে নদী থেকেই।
এনিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপ- সচিব বরাবর।
সরেজমিনে দেখা যায়, সেতুর দুই পাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণের জন্য ড্রেজার দিয়ে নদী থেকেই বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। সেতু থেকে মাত্র ৩০০ মিটার দুরে ড্রেজার দিয়ে সংযোগ সড়কে আনা হচ্ছে এ বালু। এতে ঝুঁকির মুখে পড়েছে সেতুসহ আশপাশের এলাকার বাসিন্দারা।
অভিযোগে জানা যায়, সহনাটি ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ভালুকাপুর গ্রামের শফিকুল ইসলাম, জজ মিয়া, সুহেল মিয়া, আবুল হাসেম ও সুমন মিয়াসহ ১০/১২ জনের একটি সিন্ডিকেট জলবুরুঙ্গা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে সেতুর টিকাদারের কাছে বিক্রি করছেন। অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, কিছুদিন পূর্বে এই সিন্ডিকেট বালু উত্তোলন করলে গৌরীপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিকহাত আরা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। কয়েকদিন বন্ধ রাখার পর তাঁরা আবারও কয়েক দিন ধরে বালু উত্তোলন শুরু করেছেন।
অভিযোগকারী মোঃ রতন মিয়া বলেন, নদী থেকে বালু উত্তোলনের কারণে সেতু ও আশপাশের বসবাসকারী মানুষেরা ঝুঁকির মুখে পড়েছেন। নদীটি রক্ষার জন্যই তাঁরা অবৈধ বালু উত্তোলনের প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
অভিযোগ স্বীকার করে শফিকুল ইসলাম মেম্বার বলেন- সেতুর দুই পাশে গাইডাল ওয়ালে মাটি ভরাটের জন্য আমাকে সাব কন্টাক দিয়েছেন ঠিকাদার। বিষয়টি নিয়ে সমস্যা সৃষ্টি হওয়ায় এখন ড্রেজার বন্ধ আছে।
‘জলবুরুঙ্গা সেতু নির্মাণাধীন টিকাদারী প্রতিষ্ঠান মমিনুল হক স্বর্ণা ব্রিকস (জে ভি) এর স্বত্বাধিকারী আতিক সাংবাদিকদের জানান সেতুর দুই পাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণের জন্য স্থানীয় ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম মেম্বারকে সাব কন্ট্রাক্ট দেয়া হয়েছে তার মাটি কোথায় থেকে আনছেন তা আমার জানা নেই। ’
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন