{getBlock} $results={3} $label={রাজনীতি} $type={headermagazine}

পূর্বধলায় হোসাইনিয়া ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ কারাগারে

পূর্বধলা ( নেত্রকোনা) প্রতিনিধি : নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলা সদরের হোসাইনিয়া ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ (সাময়িক বরখাস্তকৃত) মো. হাবিবুর রহমান খানকে মাদরাসার অর্থ আত্মসাত ও জালিয়াতির মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। 

আজ মঙ্গলবার নেত্রকোণার বিজ্ঞ জেলা দায়রা জজ আদালতে তিনি জামিন চাইতে গেলে বিচারক মো. শাহজাহান তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, হাবিবুর রহমান খান পূর্বধলা হোসাইনিয়া ফাজিল মাদরাসায় ২০১৫ সালের ৪ এপ্রিল অধ্যক্ষ পদে যোগদান করেন। 

অধ্যক্ষ পদে যোগদানের পর থেকেই তিনি অবৈধ নিয়োগ বাণিজ্য, মাদরাসার অর্থ আত্মসাতে  জড়িয়ে পড়েন। এর মধ্যে মাদরাসার বিপরীতে জেলা পরিষদ নেত্রকোনা কর্তৃক বরাদ্ধকৃত ১ লক্ষ ৮৭ হাজার ৯২৭.৯৩ টাকা ( ভ্যাট ব্যতীত), টিউশন ফি ৩ লক্ষ ৩৭ হাজার ২৪২ টাকা, মাদ্রাসার অভ্যন্তরীণ তহবিল থেকে ১৪ লক্ষ ৭৯ হাজার ৭৪৮ টাকা ও সরকারি বেতন ভাতা প্রায় ১৫ লক্ষ ৪৩ হাজার ১৪০ টাকাসহ সর্বমোট ৩৫ লাখ ৪৮ হাজার ৫৭ দশমিক ৯৩ টাকা উত্তোলন পূর্বক আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠে তার বিরুদ্ধে।

পরে এসব অনিয়মের অভিযোগ এনে ২০১৮ সালের ৩০ জানুয়ারি মাদরাসার গভর্নিং বডির সিদ্ধান্ত মোতাবেক ওই হোসাইনিয়া ফাজিল মাদরাসার অফিস সহকারী মো. আশরাফুজ্জামান আকন্দ বাদী হয়ে নেত্রকোণা বিজ্ঞ জেলা দায়রা জজ আদালতে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান খানের বিরুদ্দে একটি মামলা দায়ের করেন।

তখন আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে প্রেরণ করে। দুর্নীতি দমন কমিশনের দীর্ঘ তদন্ত শেষে এর সাথে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ এনে মাদরাসার উপাধ্যক্ষ, (বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ) মো: আব্দুল মালেক ও নেত্রকোনা জেলা পরিষদের উপ-সহকারি প্রকৌশলী মো: আবু বকর সিদ্দিকসহ ৩জনকে আসামী করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করা হয়।

এরই প্রেক্ষিতে গত ২০২২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি বিজ্ঞ জেলা দায়রা জজ আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। এর আগে গত ৯ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখ অভিযুক্ত অধক্ষকে সাময়িক বরখাস্ত করেন গভর্নিং বডি। মামলার অপর দুই আসামীর একজন উপ-সহকারি প্রকৌশলী মো: আবু বকর সিদ্দিক জামিনে থাকলেও উপাধ্যক্ষ আব্দুল মালেক পলাতক রয়েছেন।

একটি মন্তব্য করুন

ads
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন