শেরপুর প্রতিনিধিঃ শেরপুরে কালবৈশাখী ঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে উঠতি বোরো ফসলের ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে । ১৯ এপ্রিল মঙ্গলবার ভোরে জেলার সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী, শ্রীবরদী ও শেরপুর সদরের ৩০ টি গ্রামের উপর দিয়ে প্রচন্ড বেগে বয়ে যায় কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টি।
কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর ও কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, শ্রীবরদী উপজেলার ২০ টি গ্রাম, ঝিনাইগাতী উপজেলা ধানশাইল ইউনিয়নের ৫ টি গ্রাম ও শেরপুর সদর উপজেলার ৫ টিসহ ৩০টি গ্রামের প্রায় ৬ হাজার কৃষকের শতশত একর জমির পাকা ও আধা পাকা উঠতি বোরো ধানের ক্ষতি সাধিত হয়।
শিলাবৃষ্টিতে ক্ষেতে কোনো ধান নেই শুধু নেড়াগুলো দাঁড়িয়ে আছে। সরেজমিনে ঝিনাইগাতী উপজেলার ধানশাইল ইউনিয়নের জগতপুর, ছোট মালিঝিকান্দা,ভবানী খিলা,কোচনী পাড়া গ্রামে সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় বিল্লাল হোসেন, মমিন মিয়া, চাঁনমিয়া,আজমত আলী,আজাহার আলী, আনোয়ার হোসেন, প্রদিপ চন্দ্র দেসহ অর্ধশতাধিক কৃষকের সাথে।
অনেকেই কান্নাজড়িত কন্ঠে আক্ষেপ করে বলেন, তাদের ক্ষেতের সমস্ত ফসল শেষ হয়ে গেছে। ‘এখন তারা কি দিয়ে ছেলে মেয়ের ভরন পোষণ যোগাবে এ চিন্তায় দিশেহারা।’
এ ছাড়া শিলাবৃষ্টিতে অসংখ্য টিনের চাল ছিদ্র হয়ে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পরেছে। গাছপালা ও শাকসবজির ও ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। শেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর খামার বাড়ির উপ-পরিচালক ড, ‘মোহিত কুমার দে বলেন, শিলাবৃষ্টিতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়ের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’
ইতিমধ্যে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে ৫ হাজার হেক্টর জমির বোরো ফসলের ক্ষতি সাধিত হয়েছে। ‘তালিকা প্রনয়নের পর সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে।’
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন