শাহজাহান কবির, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধিঃ ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার অচিন্তপুর ইউনিয়নের লংকাখোলা গ্রামে ব্লাষ্ট রোগে উঠতি বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে কৃষকরা দিশাহারা হয়ে পড়েছেন।
পূর্ব সচেতনতা না থাকায় ও ঠান্ডা-গরম আবহাওয়ার কারণে ব্লাষ্ট রোগ আক্রান্ত ক্ষেত থেকে পাশের ক্ষেতেও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। সময় মতো কীটনাশক-ঔষধ প্রয়োগ করলে ব্লাষ্ট রোগ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। `তবে ব্রি ২৮ ধানের ক্ষতি হয়েছে অনেক বেশি।'
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় উপজেলার অনেক স্থানে আগাম রোপন করা বোরো ধান পাকতে শুরু করেছে। অনেক স্থানে থোর থেকে শীষ বের হয়েছে। এতে কচি শীষের ফুল পড়ে যায় ও ধানের ভিতরের দুধ শুকিয়ে সাদা হয়ে ধানের শীষ পাকা যাচ্ছে।
লংকাখোলা গ্রামের আব্দুল বারেকের ব্রি (ধান ২৮) ৫০ শতক, রফিকুল ইসলাম ৭০ শতক, হাবিবুর রহমান ৫০ শতক, জয়দুল্লাহ ৪০ শতক আব্দুল খালেক ৫০ শতক, আবুল হাসেম ৩০ শতক, মালেক ৪০ শতক,বাচ্চু মিয়া ৬০ শতক আব্দুল হেকিম ৩০ শতক, রইছ উদ্দিন ২০ শতক নাইম ৩০ শতক, `সাত্তার ৪০ শতক জমির ব্রি ধান (২৮) এর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।'
স্থানীয়রা জানান বোরো ধান ক্ষেত ব্লাষ্ট রোগে আক্রান্ত হয়েছে কৃষি অফিসের মাঠ কর্মীদের কথা মতো হাজার হাজার টাকার ঔষধ কিনে দিয়েছি কিন্তু ভালো হয়নি। `বর্তমানে আমাদের ক্ষেতে কাছি লইয়া যাওনের বাও নাই, আমরা কি করব। '
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লুৎফুন্নাহার জানান আবহাওয়া অনুকুলে না থাকায় উপজেলার সকল ইউনিয়নেই ব্রি ২৮ ধানে বাষ্ট রোগে কমবেশী ক্ষতি হয়েছে, যে কৃষক সাথে সাথে ঔষধ দিয়েছে তাদের ফসলের ক্ষতি হয়নি। `আর গরম বাতাসে বোরো ধানের যে ক্ষতি হয়েছে সেটা প্রাকৃতিক ক্ষতি। সেক্ষেত্রে আমাদের কিছু করার নেই।'
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন