{getBlock} $results={3} $label={রাজনীতি} $type={headermagazine}

⦿ এই মাত্র পাওয়া

আজ খ্রিস্টাব্দ,

প্রণোদনার সার-বীজ বিতরণে নয়ছয়

ভৈরব (কিশোরগঞ্জ): কৃষকদের মধ্যে সরকারি প্রণোদনার পাট বীজ ও সার বিতরণে অনিয়ম ও আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় উপজেলা পাট উন্নয়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এমন পরিস্থিতিতে, স্থানীয় পাট উন্নয়ন অফিসে ধর্ণা দিয়েও বীজ-সার না পাওয়ায় এ মৌসুমে পাট চাষ ব্যাহত হবে বলে মনে করছেন কৃষকরা।

পাট উন্নয়ন অফিসের তথ্য মতে, ২০২১-২২ অর্থবছরের চলতি মৌসুমে দুই হাজার চার জন কৃষকের জন্য দুই হাজার কেজি পাট বীজ, ছয় টন টিএসপি, ১২ টন ইউরিয়া ও ছয় টন এমওপি সারসহ ২৪ টন সার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সেই হিসাবে কৃষকপ্রতি ছয় কেজি ইউরিয়া, তিন কেজি টিএসপি ও তিন কেজি এমওপিসহ মোট ১২ কেজি সার এবং এক কেজি পাট বীজ পাওয়ার কথা। কিন্তু, টিএসপি, ইউরিয়া ও এমওপি সার কৃষকদের মাঝে বিতরণ না করে বরাদ্দ বহির্ভূত ডিএপি সার বিতরণ করা হচ্ছে।

এ নিয়ে কৃষকদের মধ্যে এক ধরনের ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকজন বলেছেন, প্রতি বছর এ মৌসুমে ধান ও মরিচ ঘরে তোলার পর তারা পাট চাষ করে থাকেন। কিন্ত পাট অফিসে ধর্ণা দিয়ে ও অনেক কৃষক পাট বীজ ও সার পাননি। পাট উন্নয়ন কর্মকর্তার অনিয়ম ও সার-বীজ আত্মসাতের ঘটনা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান।

কৃষক হজর মিয়া বলেন, ধন মিয়া ও এনাম মিয়া জানান, পাট অফিস থেকে ডিএপি সার পেয়েছেন ১০ কেজি এবং পাট বীজ পেয়েছেন ১ কেজি। টিএসপি ও ইউরিয়াসহ বাকি দুই প্রকারের সার পাননি তারা।

উপজেলা উপ-সহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা আশরাফ সিদ্দিকী অভিযোগ স্বীকার করে নিয়ে বলেন, সরকার পরিবহন খরচ না দেওয়ায়, ভ্যাট ও পরিবহন খরচ মেটাতে ৩ প্রকার সার না দিয়ে শুধু ৮শ টাকা দরের ডিএপি সার প্রতি কৃষককে ১০ কেজি করে দেওয়া হচ্ছে।

বিষয়ে ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান সবুজ জানান, অনিয়ম পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

from Sarabangla | https://ift.tt/e52aSEW

একটি মন্তব্য করুন

ads
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন