ভৈরব (কিশোরগঞ্জ): কৃষকদের মধ্যে সরকারি প্রণোদনার পাট বীজ ও সার বিতরণে অনিয়ম ও আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় উপজেলা পাট উন্নয়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এমন পরিস্থিতিতে, স্থানীয় পাট উন্নয়ন অফিসে ধর্ণা দিয়েও বীজ-সার না পাওয়ায় এ মৌসুমে পাট চাষ ব্যাহত হবে বলে মনে করছেন কৃষকরা।
পাট উন্নয়ন অফিসের তথ্য মতে, ২০২১-২২ অর্থবছরের চলতি মৌসুমে দুই হাজার চার জন কৃষকের জন্য দুই হাজার কেজি পাট বীজ, ছয় টন টিএসপি, ১২ টন ইউরিয়া ও ছয় টন এমওপি সারসহ ২৪ টন সার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সেই হিসাবে কৃষকপ্রতি ছয় কেজি ইউরিয়া, তিন কেজি টিএসপি ও তিন কেজি এমওপিসহ মোট ১২ কেজি সার এবং এক কেজি পাট বীজ পাওয়ার কথা। কিন্তু, টিএসপি, ইউরিয়া ও এমওপি সার কৃষকদের মাঝে বিতরণ না করে বরাদ্দ বহির্ভূত ডিএপি সার বিতরণ করা হচ্ছে।
এ নিয়ে কৃষকদের মধ্যে এক ধরনের ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকজন বলেছেন, প্রতি বছর এ মৌসুমে ধান ও মরিচ ঘরে তোলার পর তারা পাট চাষ করে থাকেন। কিন্ত পাট অফিসে ধর্ণা দিয়ে ও অনেক কৃষক পাট বীজ ও সার পাননি। পাট উন্নয়ন কর্মকর্তার অনিয়ম ও সার-বীজ আত্মসাতের ঘটনা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান।
কৃষক হজর মিয়া বলেন, ধন মিয়া ও এনাম মিয়া জানান, পাট অফিস থেকে ডিএপি সার পেয়েছেন ১০ কেজি এবং পাট বীজ পেয়েছেন ১ কেজি। টিএসপি ও ইউরিয়াসহ বাকি দুই প্রকারের সার পাননি তারা।
উপজেলা উপ-সহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা আশরাফ সিদ্দিকী অভিযোগ স্বীকার করে নিয়ে বলেন, সরকার পরিবহন খরচ না দেওয়ায়, ভ্যাট ও পরিবহন খরচ মেটাতে ৩ প্রকার সার না দিয়ে শুধু ৮শ টাকা দরের ডিএপি সার প্রতি কৃষককে ১০ কেজি করে দেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান সবুজ জানান, অনিয়ম পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
from Sarabangla | https://ift.tt/e52aSEW
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন