পটুয়াখালী: সাগরে ভেসে আসা বিশাল আকৃতির একটি গাছ আাত্নসাতের অভিযোগ উঠেছে জেলার মহিপুর থানার গঙ্গামতি এলাকার সেলিম গাজীর বিরুদ্ধে। সাগরে ভেসে আসা জেলের জালে আটকা পড়া ওই গাছটি স্থানীয় এক জেলের কাছ থেকে গত সোমবার (১৮ এপ্রিল) জব্দ করেছে বন বিভাগের মহিপুর রেঞ্জ। এদিকে গাছটি আত্মসাতের এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সংশ্লিষ্ট জেলেসহ স্থানীয়রা।
জেলার মহিপুর থানার ধুলাসর ইউনিয়নের গঙ্গামিত এলাকার জেলে রশিদ ফরাজী জালে আটকা পড়ে গাছটি। তিনি জানান, গত সোমবার গঙ্গামতি সৈকত থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার গভীর সাগরে মাছ শিকারের সময় তার জালে আটকা পড়ে বিশাল আকৃতির একটি গাছ। ‘প্রথমে ভয় পেলেও কিছু সময় পর বুঝতে পারেন এটি একটি গাছ। পরে ছোট ট্রলার নৌকায় বেঁধে গাছটিকে উপকূলে আনেন। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় গাছটিকে পাড়ে নামান তিনি।’
জেলে রশিদসহ স্থানীয়রা জানান, ৩৪ ফুট লম্বা ও ৬ ফুট প্রস্থের গাছটি অন্তত ৫ থেকে ৭ বছর নোনা পানিতে ভেসে থাকার কারণে শেওলাসহ নোনা ধরেছে। ‘স্থানীয়দের ধারণা এটি আর্জুন গাছ। যার বাজার মূল্য প্রায় ২০ হাজার টাকা। তবে বন বিভাগ গাছটিকে গর্জন হিসাবে শনাক্ত করেছে।,
আরও জানা গেছে, খবর পেয়ে বন বিভাগের মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা এসে গাছটিকে জব্দ করে একই এলাকার রত্তন গাজীর ছেলে সেলিম গাজীর কাছে জিম্মায় রাখেন। এ সময় ছেঁড়া জালসহ গাছটি টেনে আনার ক্ষতিপুরণ বাবদ রশিদ গাজীকে ৮ হাজার টাকা প্রদান করেন সেলিম।
পরে গাছটিকে ধুলাসর ইউনিয়নের নতুন পাড়া এলাকার দুলালের স-মিলে নিয়ে চেরাই (কাটা) করেন সেলিম। এ অভিযোগের বিষয়ে সেলিম গাজী বলেন, রেঞ্জ কর্মকর্তার নির্দেশে দুলালের স-মিলে গাছটি রাখা হয়েছে। ‘গাছটি কেন কেটে টুকরো করা হয়েছে এমন প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে মোবাইল ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন তিনি। এরপর থেকে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।,
এ বিষয়ে বন বিভাগের মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম বলেন, ‘স্থানীয়দের উপস্থিতিতে যথাযথ নিয়মে গঙ্গামতি এলাকার সেলিম গাজীর কাছে গাছটি জিম্মায় রাখা হয়েছে। অসৎ উদ্দেশ্যে জিম্মার গাছ কেটে থাকলে সেলিম গাজীর বিরুদ্ধে আইন অনুয়ায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।,
from Sarabangla | https://ift.tt/HGKVJhR via IFTTT
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন