শফিকুল আলম শাহীন : নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার খারছাইল পূর্বপাড়া গ্রামে স্থানীয় জনসাধারণের চলাচলের একটি কাঁচা রাস্তা কেটে ফেলার লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে।
প্রাপ্ত অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার দেওটুকোণ মৌজার এস এ দাগ নম্বর ১২৮ মোতাবেক বিআরএস দাগ নম্বর ৪৭ এ অবস্থিত হালটে দেওটুকোণ চকপাড়া কালীমন্দিরের সামনে থেকে খারছাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত কাঁচা রাস্তাটিতে সম্প্রতি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান বুলবুল মাটি ভরাটের কাজ করান।গত বুধবার খারছাইল গ্রামের মাওলানা আবেদ আলী, আব্দুল জব্বার তাঁর লোকজন দিয়ে রাস্তার কিছু অংশ কেটে ফেলেন।
গত বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, প্রায় ৮ ফুট চওড়া ওই রাস্তাটি ময়মনসিংহ-বিরিশিরি মহাসড়কে সংযুক্ত অংশের কাছাকাছি স্থানে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা তাদের জমির সিমানা ধরে প্রায় ২০০ ফুট রাস্তা কেটে ফেলেন।এতে রিকশা ও ট্রলির মতো যান চলাচলে যেমন বিঘ্ন ঘটছে। তেমনি পথচারীসহ স্থানীরা পড়েছেন দুর্ভোগে।
রাস্তার সাথে এ কেমন শত্রুতা ! আক্ষেপের সাথে কথাটি বলেন, স্থানীয় আব্দুস সালাম মিয়া। তিনি আরও বলেন, রাস্তাটি হওয়ার পর তারা ভালোভাবে চলাচল করতে পারতেন। এখন সড়কটি কেটে ফেলায় বাড়ি পর্যন্ত রিকশা আসে না।
স্থানীয় আরেক ব্যক্তি হেলাল বলেন, এই সড়ক দিয়ে স্থানীয় পাঁচ শতাধিক বাসিন্দা হেঁটে চলাচল ছাড়াও রিকশা ও ট্রলি দিয়ে মালামাল আনা নেওয়ার কাজ করে। আবেদ আলী তার ফসলি জমি বাড়াতে প্রতি মৌসুমেই রাস্তা কেটে ফেলেন। বাধা দিলেও কাজ হয় না।
অভিযুক্ত ব্যক্তি আবেদ আলী বলেন, অন্য সবার জমি থেকে আমার জমিতে বেশি মাটি খনন ও ফেলা হয়েছে । তাই অতিরিক্ত অংশ আমি কেটে ফেলে দিয়েছি।
পূর্বধলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান বুলবুল বলেন, রাস্তটি কেটে ফেলার অভিযোগটি পেয়েছি। আগামীকাল সরেজমিনে যাব।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্স বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর তিনি সহকারি কমিশনার (ভূমি) মহোদয়কে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এরপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন