পূর্বধলায় মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে দপ্তরী গ্রেপ্তার
নেত্রকোনার পূর্বধলায় দশম শ্রেণির এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ওই মাদ্রাসার দপ্তরী শফিকুল ইসলাম খান (৫৫) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছেপূর্বধলা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি : নেত্রকোনার পূর্বধলায় দশম শ্রেণির এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ওই মাদ্রাসার দপ্তরী শফিকুল ইসলাম খান (৫৫) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত শফিকুল ইসলাম খান উপজেলার ডোলকর গ্রামের মৃত আহমদ আলী খানের ছেলে ও স্থানীয় একটি দাখিল মাদ্রাসার দপ্তরি ।
এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে বুধবার ( ৩১ মে) শফিকুল ইসলাম খানকে আসামি করে পূর্বধলা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানাযায়, গত ২০২২ সালের ১২ অক্টোবর বিকাল ৪টার দিকে মাদ্রাসা ছুটির পর দপ্তরী ওই ছাত্রীকে (১৪) কাজের কথা বলে অপেক্ষা করায়। দপ্তরী সম্পর্কে ওই ছাত্রী চাচা হওয়ায় সরল বিশ্বাসে সে অপেক্ষা করে। ততক্ষণে মাদ্রাসার অন্যান্য ছাত্র/ছাত্রী ও শিক্ষকরা চলে গেলে ছাত্রীকে অফিসকক্ষে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং এ ঘটনা যেন কাউকে না বলে সেই জন্য জবাই করার হুমকী দিয়ে ছেড়ে দেয় ।
কয়েকমাস পর পরিবারের লোকজন ছাত্রীটির শারিরীক পরিবর্তন লক্ষ্য করলে তাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যায়। এ সময় ডাক্তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানায় ছাত্রীটি ৩২ সপ্তাহের গর্ভবতী।
পরে ছাত্রীর মা তাকে জিজ্ঞাস করলে মাদ্রাসার দপ্তরী শফিকুল ইসলামের দ্ধারায় ধর্ষিতা হওয়ার বিষয়টি জানায়।
পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে মাদ্রাসার দপ্তরি শফিকুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এরপর মঙ্গলবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে শফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন