{getBlock} $results={3} $label={রাজনীতি} $type={headermagazine}

দ্রুত সংস্কার করা হউক দামপাড়া বেরিবাধ

নেত্রকোনার পূর্বধলায় দামপাড়া পানি ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের দীর্ঘ ৪৬ কিলোমিটার বাধ নির্মাণের ২৪বছর অতিবাহিত হলে সংস্কার কাজ তেমন দৃশ্যমান নয়। ৪৬ কিলোমিটার

নেত্রকোনার পূর্বধলায় দামপাড়া পানি ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের দীর্ঘ ৪৬ কিলোমিটার বাধ নির্মাণের ২৪বছর অতিবাহিত হলে সংস্কার কাজ তেমন দৃশ্যমান নয়। ৪৬ কিলোমিটার বাধের মধ্যে ২০ কেলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ স্থায়ী বাদ প্রতিবছরই থাকে ভাঙ্গনের হুমকীর মুখে। পাহাড়ি ঢল ও ক'দিনের ভারী বর্ষণে হু হু করে কংস নদের পানি বেড়ে প্লাবিত হয়েছিল ওই বেরিবাধ সংলগ্ন এলাকা। 

বেরিবাধের ভিতরে(নদীর তীর এলাকায়) পানির উচ্চতা বেড়ে কানায় কানায় হয়েছিল ভরপুর। ফলে পুর্বধলা উপজেলার ঘাগড়া,জারিয়া,ধলামলগাঁও ইউনিয়নের মানুষ গত ক'দিন ধরে আতংকের মধ্যে দিনাতিপাত করেছে।পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের লোকজন রাতদিন বিরামহীন কাজ করেছে বাধরক্ষায়। তাদের সাথে যুক্ত হয়েছিল সংশ্লিষ্ট এলাকার লোকজন। অবশেষে সকল পথপরিক্রমার অবসান ঘটিয়ে জারিয়া ইউনিয়নের আনসার কাম্পের পাশে দামপাড়া বেরিবাধটি ভেঙ্গে প্লাবিত হয়েছে বিস্তৃর্ণ এলাকা। তলিয়ে গেছে মাছের ঘের ও কৃষকের আমনের ফসলি জমি।



ক্ষতির মুখোমুখি দাঁড়িয়েও ভূক্তভোগী মানুষগুলো বেরিবাধটির ভাঙ্গনে স্বস্তির নিশ্বাসে দৃশ্যমান হতাশার চাপকে এড়াতে চাচ্ছে। কারন বেরিবাধটি যতটা উপকারে এসেছিল তার চাইতেও গত ক'দিনে জনমনে নিজেদের ভিটেবাড়ি রক্ষায় ব্যাতিব্যাস্ত থাকতে হয়েছে। একই সঙ্গে পাহাড় থেকে নেমে আসা বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বিপদসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়ে বেরিবাধকে করেছে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত । ফলে বন্যার চরম অবনতিতে ব্যাপক আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কায় মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছে । নানামুখী কারনে বাধটি ভাঙ্গার আশংকায় আশু সমাধান চায় সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসী। বাধটি গত ২০০০সালে নির্মাণ করা হলেও এর সংস্কার বা মেরামত উল্লেখযোগ্য ভাবে হয়নি। 

শুধু ২০০৪ সালের বন্যায় বেশ কয়েক জায়গায় ভেঙ্গে গেলে তার সংস্কার করা হয় মাত্র। সে সময়কার বিপদজনক পরিস্থিতি থেকে শিক্ষা গ্রহন করা হয়নি। বাধটির উচ্চতা বাড়ানো অত্যন্ত জরুরি। তাছাড়া বেরিবাধ সংলগ্ন এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধিগ্রহণকৃত জায়গা খালি(যেখান থেকে মাটি কাটা হয়েছিল) থাকায় একধরনের ভূমিদস্যু তা দখলে নিয়ে নিজস্ব জমির সাথে একত্রিত করে মৎস্যচাষ শুরু করেছে।সেখানে তারা রাসায়নিক সার ব্যবহার করায় সেখানকার মাটি নরম হয়ে পড়ে। আর সেই নরম মাটিতে চাষকৃত মাছগুলো এক ধরনের সুরঙ্গের সৃষ্টি করে। 



যা বর্ষা মৌসুমে অতিবর্ষনে বাধের উপরের দিকের মাটি ধ্বসে পড়ে যায়। ফলে বাধের বিভিন্ন জায়গায় ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়। এটি থেকে পরিত্রাণের একমাত্র উপায় হচ্ছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধিগ্রহণকৃত জায়গা গুলো অবমুক্তকরণ এবং স্পর্শকাতর জায়গাগুলো চিহ্নিত করে সেখানে সকল প্রকার ভোগদখল  নিষিদ্ধ করে আইনি নোটিশ জারিসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করা। অনতিবিলম্বে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপর্ক্ষের নজরদারি ও সঠিক অনুসন্ধান দামপাড়া বেরিবাধটি স্থায়ীত্ব লাভ করবে বলে বিশিষ্টজনদের মতামত। অন্যথায় দামপাড়া বেরিবাধটি রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে।,'




লেখক :  মো. এমদাদুল হক বাবুল,অবঃ সহঃ অধ্যাপক, পূর্বধলা সরকারি কলেজ,পূর্বধলা, নেত্রকোনা।

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন