সংস্কারের গতির ওপর নির্ভর করছে জাতীয় নির্বাচন: ড. মুহাম্মদ ইউনূস
জাতীয় সংসদ নির্বাচন কবে হবে তা সংস্কারের গতির ওপর নির্ভর করছে। স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থাসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সংস্ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, সরকারে দায়িত্ব নেওয়ার পর আমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম দেশকে ভোটের জন্য প্রস্তত করতে। ‘প্রস্তুতি শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নির্বাচন দেওয়া হবে।,
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সংস্কার কাজে দেশের সবাইকে এক হতে হবে। সরকার, সংসদ, নির্বাচনি বিধি কেমন হবে, ‘এসব খুব দ্রুত শেষ করতে হবে।,
অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ যতই কম হয় ততই ভালো এমন মন্তব্য করে ড. ইউনূস বলেন, আমরা অন্তর্বর্তী সরকারে রয়েছি। তাই আমাদের মেয়াদ যতটা সম্ভব কম হওয়া উচিৎ। ‘আমরা দ্রুত নির্বাচন দিতে চাই।,
এদিকে বুধবার দুপুরে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে এলডিসি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় এবং পৃথিবী ও মানুষের জন্য কল্যাণকর সভ্যতার জন্য নতুন একটি অর্থনৈতিক কাঠামো গড়ার আহ্বান জানিয়েছেন।, কপ২৯ সম্মেলনের ফাঁকে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।, রুদ্ধদ্বার বৈঠকে পাঁচটি প্রধান জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ স্বল্পোন্নত দেশ নেপাল, মালাউই, গাম্বিয়া, ‘লাইবেরিয়া এবং বাংলাদেশের নেতারা যোগ দেন।,
ড. ইউনূছ বলেন, আমাদের একটি নতুন অর্থনৈতিক কাঠামো দরকার, যা পৃথিবী এবং এর মানুষের জন্য কল্যাণকর’। একইসঙ্গে বিশ্বের তরুণদের জন্য একটি অর্থনৈতিক ব্যবস্থা তৈরির লক্ষ্যে জাতিসংঘের পৃষ্ঠপোষকতায় হওয়া সম্মেলন ‘সামিট ফর দ্য ফিউচার’ এ সমর্থন জানান তিনি। তিনি বলেন, আমরা এমন অর্থনৈতিক কাঠামো তৈরি করেছি যার মূল হচ্ছে ভোগ, ভোগ এবং ভোগ। ‘এটি শুধু বর্জ্য, বর্জ্য এবং বর্জ্য তৈরি করে। আমাদেরকে শূন্য বর্জ্যের বিশ্ব তৈরি করতে হবে।,
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূছ বলেন, বিশ্বের কী প্রয়োজন, তা আমরা জানি এবং এর জন্য আমাদের একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করা উচিত। এটি দেশ অনুযায়ী হওয়া উচিত। আমাদের দীর্ঘমেয়াদী (বর্জ্য) নিরসনের জন্য পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। আমাদের প্রতি বছর এখানে দেখা করার দরকার নেই। ‘প্রতি বছর আলোচনার জন্য মিটিং করা সময়সাপেক্ষ অপচয়।,’
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন