পূর্বধলায় মামা-ভাগ্নীর প্রেম-বিয়ে, স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে অনশন
প্রেম, বিয়ে, ভাঙন আর পুনর্মিলনের আকাঙ্খা এই চক্রের ভেতরে এক তরুণীর জীবনের গল্প এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার গবিন্দপুর গ্রামেরপূর্বধলা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি: প্রেম, বিয়ে, ভাঙন আর পুনর্মিলনের আকাঙ্খা এই চক্রের ভেতরে এক তরুণীর জীবনের গল্প এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার গবিন্দপুর গ্রামের মেয়ে নাজমুন্নাহার (২০) বর্তমানে স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে দুইদিন ধরে অনশন করছেন নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার আগিয়া ইউনিয়নের কৈলাটি নয়াপাড়া গ্রামে। ওই গ্রামেই নাজমুন্নাহারের নানা বাড়ি।
জানাযায়, নানার বাড়িতে যাওয়া-আসার সুবাদে নাজমুন্নাহারের প্রতিবেশী মামা মোকাব্বীর হোসেন সজিব (২৮) এর সঙ্গে গড়ে উঠে প্রেমের সম্পর্ক। সজিব ওই গ্রামের রুক্কু মিয়ার ছেলে এবং উপজেলার আগিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহসভাপতি।পরিবারের অজান্তেই ২০২৪ সালের নভেম্বর থেকে তাদের সম্পর্ক গভীর হয়। অবশেষে ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি তারা গাজীপুরে গিয়ে বিয়ে করেন। সেখানে ভাড়া বাসা নিয়ে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে কিছুদিন একসঙ্গে বসবাসও করেন। নাজমুন্নাহার তখন গাজীপুরের বৌ-বাজার এলাকায় দারুসসালাম মহিলা মাদরাসায় শিক্ষকতা করতেন।
এরই মধ্যে সজিবের পরিবারের লোকজন বিয়ে ঠিক করলে গত মঙ্গলবার সে নিজ বাড়িতে ফিরে আসেন। সজিব অন্যত্র বিয়ে করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তা জানতে পেরে নাজমুন্নাহার তার নানা আব্দুস ছালামের বাড়িতে ছুটে আসেন।
সজিব আবারও বিয়ে করছেন বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে নাজমুন্নাহার রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সজিবের বাড়িতে ঘরের সামনে অনশন শুরু করেন।
এ সময় সজিব অন্যত্র বিয়ে করার জন্য বর সেজে বাড়ি থেকে কনের বাড়িতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। নাজমুন্নাহারের উপস্থিতি টের পেয়ে তিনি গা ঢাকা দেন।
নাজমুন্নাহার জানায়, গত দুই বছর আগে ময়মনসিংহের দাপুনিয়া গ্রামে তার প্রথম বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু মাত্র তিন মাসের মাথায় সেই সংসার ভেঙে যায়। পরে নতুন সম্পর্ক ও নতুন স্বপ্ন নিয়ে তিনি আবার সজিবের সাথে সংসার জীবনে ফিরে আসলেও এখন আবারো অনিশ্চয়তায় ঘেরা। তবে সোমবার দুপুরে গিয়েও দেখাযায় নাজমুন্নাহারের অনশন অব্যাহত আছে।
এই ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকে বলছেন, প্রেম থেকে বিয়ে, তারপর বিয়ের স্বীকৃতি দাবিতে অনশন সবকিছুই যেন নাটকীয়ভাবে ঘটছে। তার উপর নাজমুন্নাহার ও মোকাব্বীর হোসেন সজিব সম্পর্কে মামা-ভাগ্নী হওয়ায় বিষয়টি সামাজিকভাবে আরও জটিল আকার ধারণ করেছে। এ ব্যাপারে মোকাব্বীর হোসেন সজিবের সাথে যোগাযোগের চেষ্ঠা করে তাকে পাওয়া যায়নি।
পূর্বধলা থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মো. নুরুল আমিন জানান, তিনি বিষয়টি শুনেছেন। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন