{getBlock} $results={3} $label={রাজনীতি} $type={headermagazine}

পূর্বধলায় দাফনের আড়াই মাস পর কবর থেকে শিশুর লাশ উত্তোলন

নেত্রকোনার পূর্বধলায় দাফনের আড়াই মাস পর আদালতের নির্দেশে রানা (৭) নামের এক শিশুর লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার বৈর

পূর্বধলা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি : নেত্রকোনার পূর্বধলায় দাফনের আড়াই মাস পর আদালতের নির্দেশে রানা (৭) নামের এক শিশুর লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার বৈরাটি ইউনিয়নের জিগাতলা গ্রামে এ লাশ উত্তোলন কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। রানা ওই গ্রামের রাজিব মিয়ার ছেলে।

পুলিশ জানায়, রানা দীর্ঘদিন ধরে তার নানার বাড়ি গোহালাকান্দা ইউনিয়নের কান্দুলিয়া গ্রাামে নাজিম উদ্দিনের বাড়িতে থাকত। চলতি বছরের ৩০ জুন বিকালে স্থানীয়রা ওই গ্রামের মশিউর রহমানের পুকুরে ভাসমান অবস্থায় রানার লাশ দেখতে পান। পরে ময়নাতদন্ত ছাড়াই পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

এর কিছুদিন পর নিহত রানার বাবা জানতে পারেন, তার ছেলে পানিতে ডুবে মারা যায়নি; তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় ২৩ জুলাই রানার বাবা রাজিব মিয়া বাদী হয়ে কান্দুলিয়া গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে শহীদ মিয়াকে (৪৮) একমাত্র আসামি করে নেত্রকোনা আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়, ৩০ জুন বিকাল তিনটার দিকে শহীদ মিয়া রানাকে ১০০ টাকা দিয়ে দোকান থেকে সিগারেট আনতে পাঠান। কিন্তু রানা সেই টাকা দিয়ে গরুর খাদ্য কিনে আনে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শহীদ মিয়া তাকে চড় মারেন, ঘটনাস্থলেই রানা মারা যায়। এরপর লাশ পুকুরে ফেলে দেয়া হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

আদালতের নির্দেশে ২৯ জুলাই মামলাটি পূর্বধলা থানায় রেকর্ড হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শ্যামগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই মো. কামরুল ইসলাম আদালতে লাশ উত্তোলনের আবেদন করেন।

এরই প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাকিয়া সুলতানা রোজির নেতৃত্বে একটি টিম কবর থেকে রানার লাশ উত্তোলন করে।

শ্যামগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোহাম্মদ রুহুল আমিন জানান, লাশ উত্তোলনের পর ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলে শিশুর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন