বেহাল পূর্বধলা স্টেশন সড়ক : যেন দেখার কেউ নেই
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে সড়কের মাত্র ৯৭ মিটার জায়গায় স্থানে স্থানে কার্পেটিং উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত। এতে চরম ভোগান্তিতেশফিকুল আলম শাহীন : নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলা সদরের স্টেশন বাজার হতে পূর্বধলা বাজার পর্যন্ত অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সড়কটির এখন বেহাল দশা।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে সড়কের মাত্র ৯৭ মিটার জায়গায় স্থানে স্থানে কার্পেটিং উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন পথচারী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ ।এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষ চলাচল করে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অটোরিকশা, ভ্যান, রিকশা ও মোটরসাইকেল ছুটে চলে এ পথে। কিন্তু গর্ত আর ভাঙাচোরা রাস্তায় চলাচলের সময় প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা।
বিশেষ করে এ রাস্তায় হেঁটে চলাচল করাও দুষ্কর হয়ে পড়েছে। বৃষ্টির দিনে গর্তে পানি জমে গিয়ে সড়কটি রীতিমতো মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা কলাম লেখক জাকির আহমেদ খান কামাল বলেন, সড়কটির বেহাল অবস্থার কারণে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়তে হয় রোগী ও তাদের স্বজনদের। বিশেষ করে পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা যাওয়া করা রোগীদের দুর্ভোগের যেন শেষ নেই।
অটোরিকশাচালক আবুল কালাম বলেন, এই রাস্তা দিয়ে যাত্রী তুলতে গেলে প্রতিদিনই গাড়ির ঝাঁকুনিতে যান্ত্রিক ত্রুটি হয়। মাঝেমধ্যে গাড়ি থেকে যাত্রী পড়ে গিয়ে ঘটে দুর্ঘটনা।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বারবার অবহিত করা হলেও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) বাস্তবায়নে জিওবি ২০২২-২৩ প্রোগ্রামের আওতায় উপজেলা হেডকোয়াটার (রেলস্টেশন) পূর্বধলা জিসি সড়কটির ১২শ’৮৫ মিটার এ রাস্তা মেরামত করা হয়। এতে ব্যয় হয় ১ কোটি ৫৭ লাখ ৪৫২ টাকা। গত ২০২৩ সালের ৩০ মে রাস্তাটির সংস্কারকাজ শেষ হওয়ার পর কয়েক মাস না যেতেই সড়কের বিভিন্ন স্থানে ভাঙন দেখা দেয়। তখন আবার মেরামত করা হলেও কিছুদিন যেতে না যেতেই একই অবস্থা।,
বিশেষ করে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের দক্ষিন পাশে সড়কের পশ্চিম দিক থেকে একটি ড্রেন এসে মায়াকাননের সামনে মূল সড়কের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। ড্রেনের পানি সরাসরি মূল সড়ক দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় ওই স্থানে সংস্কার করা সড়কের পিচ উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের ।
উল্লেখ্য, ড্রেনটি ব্যক্তি মালিকানাধীন হলেও ইউনিয়ন পরিষদ উন্নয়ন সহায়তা তহবিল (বিবিজি) ২০২২-২৩ অর্থবছরের আওতায় পূর্বধলা সদর ইউপি কর্তৃক বাস্তবায়িত স্টেশন রোড মায়াকানন হতে পশ্চিম দিকে ২ লাখ ৪২ হাজার টাকা ব্যয়ে ড্রেনের উপর সিসিকরণ করা হয়েছে।,
এ বিষয়ে পূর্বধলা সদর ইউপি চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান বুলবুল বলেন, ড্রেনটি ব্যক্তি মালিকানায় করা হয়েছে। ‘আমরা শুধু সিসি ঢালাই করে দিয়েছি।,
এলাকাবাসীর অভিযোগ, কোটি টাকা ব্যয়ে রাস্তা সংস্কার হলেও সঠিক পরিকল্পনা ও টেকসই ব্যবস্থাপনার অভাবে রাস্তার এ দশা হয়েছে। তারা দ্রæত ড্রেনেজ ব্যবস্থা সংস্কার ও ক্ষতিগ্রস্থ রাস্তা মেরামতের দাবি জানিয়েছেন।,
পূর্বধলা উপজেলা প্রকৌশলী মিশুক কুমার দত্ত বলেন, সড়কের পশ্চিম দিক থেকে যে ড্রেনটি মূল সড়কের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সেই ড্রেন দিয়ে সবসময় সড়কে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। আর এই পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় রাস্তার ঐ অংশটুকু ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সড়কটির ক্ষতিগ্রস্থ অংশ মেরামতের জন্য ইতোমধ্যে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। ‘বরাদ্দ পাওয়া গেলে সংস্কার করা হবে।,’
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন