পূর্বধলায় সাংবাদিককে হুমকি, প্রতিবাদে সাংবাদিকদের সমাবেশ

পূর্বধলা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি:  সংবাদ প্রকাশের জের ধরে নেত্রকোনার পূর্বধলা সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কর্তৃক সাংবাদিককে হুমকির প্রতিবাদে পূর্বধলায় কর্মরত সাংবাদিকরা প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে। সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পূর্বধলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এই প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে পূর্বধলা প্রেসক্লাবের সভাপতি জুলফিকার আলী শাহীনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মো. জায়েজুল ইসলামের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন- পূর্বধলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি শফিকুল আলম শাহীন, সাবেক সভাপতি ও নয়া দিগন্ত পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি ইসমাইল হোসেন খোকন,  সহ-সভাপতি নূর আহমদ খান রতন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কালের কণ্ঠ পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা, ক্লাবের যুগ্ম সাধারণ ও পূর্বধলার দর্পণ এর প্রকাশক-সম্পাদ কেবিএম নোমান শাহরিয়ার,  সাংবাদিক নূর উদ্দিন মন্ডল দুলাল,   দৈনিক সংবাদ-এর উপজেলা প্রতিনিধি এমদাদুল ইসলাম, দীপক সরকার, জাকির আহমেদ খান কামাল।

এ সময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন- প্রতিদিনের সংবাদ-এর প্রতিনিধি আল মনসুর, ভোরের ডাক পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি মো. শফিকুল ইসলাম খান, এনটিভি অনলাইন-এর প্রতিনিধি এসএস ওয়াদুদ, একুশের সংবাদ-এর উপজেলা প্রতিনিধি মো. সাইদুল ইসলাম,  মানবকণ্ঠ পত্রিকার প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ সাকিব, মানবজমিন এর প্রতিনিধি জুবায়ের হোসেন বাচ্চু, সাংবাদিক আমিনুল ইসলাম মন্ডল, আব্দুল্লাহ আল-আমিন, ইমতিয়াজ আহমেদ সজিব, শাহীন খন্দকার, সাগর আহমেদ জজ, আল-আমিন শেখ, আল-মামুন, আমিনুল হক, জিয়াউর রহমান, মজিবুর রহমান তালুকদার, মোশাহিদুর রহমান উজ্জ্বল প্রমুখ।

প্রসঙ্গত- আজকের আরবান পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার ও আমার সংবাদ-এর উপজেলা প্রতিনিধি নাহিদ আলম সম্প্রতি পূর্বধলা সরকারি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার ২০২৫ সালের ফলাফল বিপর্যয় নিয়ে একটি সংবাদ প্রকাশ করেন। ওই সংবাদ প্রকাশের পর কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আনোয়ারুল হক রতন সাংবাদিক নাহিদ আলমকে ডেকে নিয়ে হুমকিসহ অশালীন আচরণ করেন।

সমাবেশে সাংবাদিক নাহিদ আলম জানান, গত রবিবার (২ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে কলেজে একটি নারী সংক্রান্ত  ঘটনার খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলেন এবং প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ করে চলে আসেন। পরে দুপুর ১টা ২০ মিনিটের দিকে কলেজের প্রভাষক ইলিয়াস আহমদ ভূঁইয়ার ফোনে তিনি কলেজে যান। সেখানে উপস্থিত হয়ে অধ্যক্ষের কক্ষে প্রবেশ করলে তাঁকে তিরস্কার, কটূক্তি ও মানহানিকর আচরণের শিকার হতে হয়।

তিনি আরও জানান, ফলাফল সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তাকে অন্যান্য শিক্ষক ও কলেজ স্টাফদের সামনেই তাকে প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে অপমান, হেনস্থা ও হুমকী দেন। ।

উক্ত ঘটনার প্রতিবাদে সাংবাদিক সমাজ তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে সমাবেশের মাধ্যমে  পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা দেয়। 

এ বিষয়ে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আনোয়ারুল হক রতনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, “কলেজে এলে কথা বলা যাবে।”