{getBlock} $results={3} $label={রাজনীতি} $type={headermagazine}

আজ খ্রিস্টাব্দ,

⦿ এই মাত্র পাওয়া

পূর্বধলায় হানাদার মুক্ত দিবস পালিত

একাত্তরের ৯ ডিসেম্বর মুক্তির আনন্দে বিজয় উল্লাসে মেতে ওঠেছিল নেত্রকোনার পূর্বধলার মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিকামী জনতা। শত্রু মুক্ত হয় পূর্বধলা। তাই নানা আয়

পূর্বধলা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি: একাত্তরের ৯ ডিসেম্বর মুক্তির আনন্দে বিজয় উল্লাসে মেতে ওঠেছিল নেত্রকোনার পূর্বধলার মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিকামী জনতা। শত্রু মুক্ত হয় পূর্বধলা। তাই নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে আজ মঙ্গলবার (৯ডিসেম্বর) পালিত হয়েছে পূর্বধলা মুক্ত দিবস।

দিবসটি উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উদ্যোগে বিজয় র‌্যালী, স্মৃতিস্তম্বে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনিছুর রহমান খান’র সভাপতিত্বে অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আজিজ তালুকদার, আব্দুল হাই তালুকদার, হারুন-অর রশিদ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান, স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা, জুলাই যোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, শিক্ষক, সাংবাদিক এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য ১৯৭১ সালের আজকের এই দিনে নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলা শত্রুমুক্ত হয়। মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিকামী জনতার যৌথ আক্রমনে পাক হানাদার বাহিনী ৮ ডিসেম্বর রাতে পূর্বধলা থেকে পালিয়ে যায়। পর দিন ৯ ডিসেম্বর সকালে আবারও ওই পাক হানাদার বাহিনী জারিয়া-ময়মনসিংহ রেলপথে গৌরীপুর থেকে ট্রেনযোগে পূর্বধলায় প্রবেশ করতে চাইলে মুক্তিযোদ্ধাদের তীব্র আক্রমন ও প্রতিরোধের মুখে তারা পিছু হঠতে বাধ্য হয়।

এসময় পাক সৈন্যরা পূর্বধলা উপজেলার পাবই রেল সেতুটি মাইন বিষ্ফোরনে ধবংস করে যায়। ওই দিন নেত্রকোনার বিভিন্ন স্থানে আটকে পড়া পাক সৈন্যরা পরাজয়ের গ্লানি নিয়ে ঢাকায় ফেরার পথে উপজেলার শ্যামগঞ্জ পশ্চিম বাজারের মুক্তিযোদ্ধা সুধীর বড়ুয়াকে হত্যা করে। পূর্বধলার ওই যুদ্ধই একাত্তরের রণাঙ্গনে নেত্রকোনা জেলার শেষ যুদ্ধ।

তবে স্বাধীনতার দীর্ঘ বছর অতিবাহিত হলেও উপজেলার ৪টি বধ্যভূমির মধ্যে ত্রিমোহনী কিছুটা সংস্কার হলেও উপজেলা সদরের রাজপাড়া, পুকুরিয়াকান্দা ও জারিয়া ইউনিয়নের জারিয়া কংস নদের পাড়ের বধ্যভূমি আজও পড়ে রয়েছে অরক্ষিত, অযত্ম আর অবহেলায়। সরকারি বা বেসরকারি উদ্যোগে এই বধ্যভূমিতে আজও গড়ে উঠেনি কোনো স্মৃতিস্তম্ভ।


একটি মন্তব্য করুন

ads
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন