ঢাকা: বাংলাদেশের প্রায় সব শহরের অলি-গলিতেই দেখা যায় চটপটি-ফুসকার দোকান। এই দোকানগুলো শহরের কালচার থেকে শুরু করে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। আর ইদ উপলক্ষে কদর বেড়েছে গাজীপুরে বিভিন্ন চটপটি-ফুসকার অস্থায়ী দোকানের।
অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ ব্যতিক্রম। লোকলজ্জা, অস্বস্তি এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চটপটি-ফুসকা জনপ্রিয় না হলেও বর্তমানে ধীরে ধীরে এটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠেছে। পরিবার নিয়ে অথবা ব্যক্তিগতভাবে ঘুরতে বের হওয়া সাধারণ মানুষের কাছে চটপটি-ফুসকা যেন অন্যরকম এক খাবার। গাজীপুরের টঙ্গী, পূবাইলসহ শহরের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে, রাস্তার পাশে অস্থায়ী শতাধিক চটপটি-ফুসকার দোকান।
ইদ উপলক্ষে একটু বেশি দাম রাখলেও ভোক্তাদের তাতে কোনো অভিযোগ নেই। কারণ অন্যান্য স্ট্রিট ফুডের মধ্যে চটপটি-ফুচকার প্রতি ভোক্তাদের চাহিদা অনেক বেশি। টঙ্গীর টিএনটি বাজারে অবস্থিত ‘মা-বাবার দোয়া চটপটি হাউজ’র মালিক মো. নাহিদ বলেন, ‘ইদ উপলক্ষে প্রতি প্লেট চটপটি দশ টাকা বাড়িয়ে পঞ্চাশ টাকা করে নিচ্ছি।
সবাই যেন আমার দোকানে চটপটি খেতে পারে তাই আমি তেমন দাম বাড়াইনি। সবচেয়ে বড় কথা হলো- পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং খাবারের স্বাদ। এগুলো ঠিকঠাক থাকলে বিক্রি এমনিতেই বেড়ে যাবে।’ মো. মনির হোসেন নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘যদিও বাহিরের খাবার অত খাই না। তবে ইদ এলে চটপটি-ফুসকার এত এত দোকান চোখে পড়ে যে, তখন আর না খেয়ে থাকতে পারি না।’ ইমা নামের স্কুল পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘ফুসকা খেতে আমার অনেক ভালো লাগে। যদিও ইদ এলে চটপটির দোকান অনেক দেখা যায়, তবে সব দোকানে খাইনা।
নির্ধারিত কিছু দোকান রয়েছে যারা সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন খাবার বিক্রি করে। সেখানেই চটপটি-ফুসকা খেতে যাই।’ টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাবেদ মাসুদ বলেন, ‘আমরা সব সময় মনিটরিং করছি, যেন সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান পরিচালনা করে এবং কোথাও যেন কোন ঝামেলা সৃষ্টি না হয়।’
The post appeared first on Sarabangla http://dlvr.it/SPjtmd
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন