{getBlock} $results={3} $label={রাজনীতি} $type={headermagazine}

আত্তীকরণ বিধিমালা সংশোধনের দাবিতে শিক্ষক সমিতির মতবিনিময় ও সংবাদ সম্মেলন

সরকারিকৃত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের ওপর আরোপিত ‘আত্তীকরণ বিধিমালা-২০২৪’-এর বৈষম্যমূলক ধারা বাতিল ও কার্যকর চাকুরীকালের ভিত্তিতে জ্যেষ্ঠতা

“সরকারিকৃত মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির ৪ দফা দাবি—বিধিমালা পরিমার্জন ও পদ-সৃজনের আহ্বান”

খবরের অডিও ফাইলটি শুনতে নিচের প্লে-বাটনে ক্লিক করুন-

পূর্বকন্ঠ ডেস্ক : সরকারিকৃত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের ওপর আরোপিত ‘আত্তীকরণ বিধিমালা-২০২৪’-এর বৈষম্যমূলক ধারা বাতিল ও কার্যকর চাকুরীকালের ভিত্তিতে জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণের দাবিতে এক মতবিনিময় সভা ও সংবাদ সম্মেলন করেছে সরকারিকৃত মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি, বাংলাদেশ।

আজ ৬ অক্টোবর, বিকালে, রাজধানীর পুরানা পল্টনের মেট্রোপলিটন কমার্সিয়াল কমপ্লেক্সে সংগঠনের আহবায়ক সুধাংশু শেখর তালুকদারের সভাপতিত্বে এ মতবিনিময় ও সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সারাদেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার শিক্ষক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে শিক্ষকরা তাদের দীর্ঘদিনের বঞ্চনা, আর্থিক বৈষম্য এবং পদোন্নতি সংক্রান্ত জটিলতা তুলে ধরে সরকারের কাছে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ বলেন, “আত্তীকরণ বিধিমালা-২০২৪ প্রকাশের পর শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রত্যাশিত স্বীকৃতি ও মর্যাদা অর্জনের পরিবর্তে নতুন জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে।”

তাঁরা অভিযোগ করেন, বিধিমালার একাধিক ধারা শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে বৈষম্য, বেতন গ্রেডে অবনমন এবং পদোন্নতিতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে।

আত্তীকরণ বিধিমালা-২০২৪-এর বৈষম্যমূলক ধারা বাতিল: শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ বলেন, এই বিধিমালার কিছু ধারা শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে বিভাজন ও বৈসম্য তৈরি করেছে, যা অবিলম্বে বাতিল করা প্রয়োজন।

পদ-সৃজন ও শূন্য পদ পূরণ: সরকারিকৃত বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার মান রক্ষায় নতুন পদ সৃজন ও শূন্য পদ পূরণের দ্রুত উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

কার্যকর চাকুরীকালের ভিত্তিতে জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ: শিক্ষক-কর্মচারীদের জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণে তাদের মোট কার্যকর চাকুরিকালকে প্রাধান্য দেওয়ার দাবি জানানো হয়।

পদোন্নতি ও বদলি: বিধিমালা সংশোধনের মাধ্যমে পদোন্নতি ও বদলির নিয়ম সুস্পষ্ট করার দাবি তোলেন শিক্ষক নেতারা।

সমিতির নেতৃবৃন্দ বলেন, ২০১৬ সাল থেকে শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ থাকায় অনেক প্রতিষ্ঠান এখন শিক্ষক সংকটে ভুগছে। অন্যদিকে, যারা বহু বছর ধরে শিক্ষা সেবায় নিয়োজিত ছিলেন, তারা অবসর বা মৃত্যুর পরও আর্থিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

তাঁরা মনে করেন, সরকারের সদিচ্ছা থাকলে এই বৈষম্য দূর করা সম্ভব এবং তাতে শিক্ষা ব্যবস্থায় স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে।

শিক্ষক নেতা মীর আব্দুল হান্নান বলেন, “সরকারিকরণ আমাদের জীবনের বড় অর্জন ছিল। কিন্তু এখন এই বিধিমালা সেই স্বপ্নকে ভেঙে দিয়েছে। আমরা কোনো বাড়তি সুবিধা চাই না, শুধু ন্যায্য প্রাপ্য চাই।”

সরকারের প্রতি আহ্বান:

সভায় উপস্থিত নেতৃবৃন্দ সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, শিক্ষা ব্যবস্থার স্বার্থে এবং শিক্ষক সমাজের মনোবল অটুট রাখতে আত্তীকরণ বিধিমালা ২০২৪ দ্রুত পরিমার্জন ও বাস্তবসম্মত সংশোধন করা প্রয়োজন।

এ সময় অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন, শিক্ষক নেতা আমিনুল ইসলাম, মো. উমর ফারুক, এএসএম মোস্তফা কামাল, মিজানুর রহমান কামাল প্রমুখ। 

একটি মন্তব্য করুন

ads
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন