মদনে মাদ্রাসা শিক্ষকের জমি বেদলের অভিযোগ
এ কে এম আব্দুল্লাহ্, নেত্রকোনা ঃ নেত্রকোনার মদন উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষক ছায়েদুর রহমান খন্দকারের ক্রয়কৃত জমি প্রভাবশালী প্রতিপক্ষের লোকজন বেদখল করে নেয়ার লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে।
লিখিত অভিযোগে প্রকাশ, নেত্রকোনা জেলার আটপাড়া উপজেলার সুখারী ইউনিয়নের সুখারী গ্রামের মৃত ছেরাগ আলী খন্দকারের ছেলে মদন উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষক ছায়েদুর রহমান খন্দকার মদন পৌরসভার বাড়ীভাদেরা মৌজায় সাবেক দাগ নং ৯৭০ হাল দাগ নং ১৬২০ এর ২০ শতাংশ জায়গা ক্রয় করে সেই জায়গার একপাশে ৫ শতাংশ জায়গায় বসত বাড়ী তৈরী করে বসবাস করে আসছে।
বাকী ১৫ শতাংশ জমিতে টুকটাক কৃষি কাজ করা হতো। পরবর্তীতে আটপাড়ার সুখারী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান চলমান ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী সৈয়দ মোস্তফা আশরাফ কামাল ওরফে তুহিন ভাড়ীভাদেরায় ছায়েদুর রহমানের পাশের জমি ক্রয় করেন। গত বছর তুহিন চেয়ারম্যান হঠাৎ করে ছায়েদুর রহমানের ১৫ শতক জমি তাদের বলে দাবী করে বেদখলের চেষ্টা করলে এ নিয়ে দু পক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়।
‘অসহায় শিক্ষক ছায়েদুর রহমান’ উপায়ান্তর না দেখে আদালতে মামলা করলে বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে মদন থানার ওসিকে সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ প্রদান করেন। আদালতের নির্দেশে মদন থানা পুলিশের এস আই নুরুল আমীন নন এফ আই আর নং ১২৪/২০২০ ইং এবং এ এস আই মোঃ সোহেল রানা নন এফ আই আর প্রশিকিউশন নং-৭২ তদন্ত পূর্বক জমির কাগজপত্র পর্যালোচনা করে দলিল অনুয়ায়ী উক্ত জমির মালিক ছায়েদুর রহমান বলে ১৬ অক্টোবর ২০২১ আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে।
বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত উক্ত জায়গায় বিবাদীগণ যাতে দখল বা কোন ধরণের স্থাপনা নির্মাণ করতে না পারে সে জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। তারপরও প্রভাবশালী প্রতিপক্ষের লোকজন শিক্ষকের জমি বেদখল করে নিয়েছে।
শিক্ষক ছায়েদুর রহমান বলেন, আমার কাছে জমির সঠিক দলিল ও কাগজপত্র রয়েছে। আমার পক্ষে আদালতের রায় রয়েছে। তারপরও তারা জমি বেদখলে নিয়ে উল্টো আমাকে ও আমার পরিবারকে নানা ধরণে হুমকি ধামকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শণ করছে। বর্তমানে আমি ও আমার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
‘এ ব্যাপারে সুখারী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমানে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী সৈয়দ মোস্তফা আশরাফ কামাল তুহিন জানান, আমার নির্বাচনের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে ছায়েদুর রহমান এমন মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে। তার জমির সাথে আমার জমির দাগ নং ভুল আছে। এ নিয়ে উচ্ছ আদালতে মামলা চলছে।’
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন