শেরপুর (ঝিনাইগাতী) প্রতিনিধি: শেরপুরের সীমান্তবর্তী পাহাড়ি গ্রাম গুলোতে বিশুদ্ধ খাবার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে নদী-নালা, ডুবাও কুপের দূষিত পানি পান করে নানা ধরনের পেটের পিরাসহ পানিবাহিত রোগে ভূগছেন শতশত মানুষ।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, ঝিনাইগাতী উপজেলার সীমান্তবর্তী পাহাড়ি প্রামগুলোতে চলতি মৌসুমে ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর ১ শ’ফুট নিচে নেমে গেছে। এতে শতশত অগভীর নলকূপ অকেজো হয়ে পরেছে।এসব অকেজো নলকূপে পানি উঠছে না। ফলে পাহাড়ি গ্রামগুলোতে বিশুদ্ধ খাবার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। পাহাড়ি গ্রামবাসীরা খাল-বিল,নদী- নালা ও কূপের দূষিত পানি পান করার পাশাপাশি গৃহস্থালির কাজেও ব্যবহার করতে হচ্ছে দূষিত পানি। আবার অনেকে অন্যগ্রাম থেকে পানি সংগ্রহ করে জীবন বাঁচাতে বাধ্য হচ্ছে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, প্রতিবছরই শুস্ক মৌসুমে সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী, উপজেলার প্রায় ৩০টি পাহাড়ি গ্রামে ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যায়।
এসময় শতশত অগভীর নলকূপ অকেজো হয়ে পরে। ফলে বিশুদ্ধ খাবার পানির তীব্র সংকট দেখা দেয়। ঝিনাইগাতী উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো,রুকুনুজ্জামান, কাংশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আতাউর রহমান বলেন, পাহাড়ি গ্রামবাসীরা দারিদ্র সীমার নীচে বাস করেন।
তাই আর্থিক সংকটের কারনে গভীর নলকূপ স্থাপন তাদের পক্ষে সম্ভব হয়ে উঠে না। তাই স্বল্প পরিসরে ২০ থেকে ৩০ ফুট লিয়ারে যে পানি পাওয়া যায় সে অনুযায়ী চাপ কল স্থাপন করে ওই পানিতে জীবন ধারন করেন পাহাড়ি গ্রামবাসীরা ।‘ হালচাটি গ্রামের দ্বিজ্য মোহন কোচ,ছোট গজনী গ্রামের ফিলিসন সাংমা বলেন, শুস্ক মৌসুমে পানির স্তর নিচে নেমে গেলে নলকূপ গুলো অকেজো হয়ে পড়ে।’
ফলে পাহাড়ি গ্রামগুলোতে দেখা দেয় বিশুদ্ধ খাবার পানির তীব্র সংকট। বর্তমানে ও খাবার পানির তীব্র সংকট চলছে। ঝিনাইগাতী উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তা রাধা বল্লব বলেন প্রতি বছর শুস্ক মৌসুমে ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর ১০০ থেকে ১২০ ফুট নিচে নেমে যায়। ফলে স্বল্প লেয়ারের নলকুপগুলোতে পানি উঠে না। এতে এলাকায় দেখা দেয় বিশুদ্ধ খাবার পানির তীব্র সংকট। ‘তিনি বলেন সরকারি ভাবে যে পরিমানে গভীর নলকুপ বরাদ্দ পাওয়া যায় তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।’
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন