আজ পবিত্র ঈদুল আযহা
আজ শনিবার (৭ জুন) পবিত্র ঈদুল আযহা। ত্যাগ, শান্তি আর আনন্দের অনাবিল সওগাত নিয়ে বছর ঘুরে আমাদের জীবনে আবার ফিরে এসেছে পবিত্র ঈদ-উল আযহা। ঈদ-উল আযহাঈদুল আযহা মানে ত্যাগের ঈদ। এই ঈদ মহান কুরবানির শিক্ষা দেয়। কুরবানি হচ্ছে মূলত ত্যাগ। ত্যাগের মধ্যেই এর সার্থকতা ও তাৎপর্য নিহিত। পবিত্র ঈদুল আযহা আমাদের এ শিক্ষাই দেয়। তবে ঈদ কেবল ত্যাগের নয়, উৎসব-আনন্দেরও। এ আনন্দের ধারা আমরা লক্ষ্য করি সর্বত্র। বিশেষ করে শিশু-কিশোরদের মধ্যে বাঁধভাঙা জোয়ার দেখা দেয়, যা নির্মল আনন্দেরই প্রকাশ। কুরবানিকে আরবি ভাষায় ‘উযহিয়্যা’ বলা হয়। উয্যাহিয়্যা শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো ওই পশু, যা কুরবানির দিন জবেহ করা হয়। ইসলামি শরীয়াতের পরিভাষায় মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্য নির্দিষ্ট সময়ে পশু জবেহ করাকে কুরবানি বলা হয়। এটি একটি আর্থিক ইবাদাত। যার কারণে সবার উপরই কুরবানি করার বাধ্যবাধকতা নেই। তাই যাদের ওপর কুরবানি আদায় করা আবশ্যক তাদের উচিত নির্দিষ্ট নিয়মে ও নির্দিষ্ট সময়ে পশু কুরবানি দেয়া। তবে কুরবানির মূল উদ্দেশ্য যেহেতু নিজেদের পশুত্বপ্রবৃত্তির কুরবানি করে মনুষ্যত্বকে জাগ্রত করা সেহেতু এই উদ্দেশ্যকে পাশ কাটিয়ে নিজেদের গৌরব-মর্যাদার প্রতীক হিসেবে কুরবানিকে বিবেচনা করা উচিত নয়। বর্তমান সময়ে অনেকেই কুরবানির মাধ্যমে নিজের আর্থিক সামর্থ্য জাহির করার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়। প্রকৃতপক্ষে এই প্রতিযোগিতাপ্রবণ কুরবানির কোনো মূল্য নেই আল্লাহর কাছে। মহান আল্লাহ কেবল ওই কুরবানিকেই কবুল করে থাকেন, যেটা কেবলই তাঁরই প্রেম-ভালবাসায় হয়ে থাকে।
কুরবানী শেষে পশুর রক্ত, বর্জসহ নানারকম ময়লা আবর্জনা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা আমাদের সকলের দায়িত্ব এবং কর্তব্য। পশুর বর্জ-রক্ত সমূহ মাটির নীচে পুতে রাখলে সবচেয়ে ভালো হয়। কোরবানীর মূল লক্ষ্য উদ্দেশ্যের দিকে খেয়াল রাখা অর্থাৎ প্রতিবেশী যারা কোরবানী দেয়নি তাদের দিকে খেয়াল রাখা ও গরীর, ফকির মিছকিনদের অংশ যথাযথভাবে বন্টন করা। শেষ কথা ইদুল আযহা মানে ত্যাগের ইদ। এই ঈদ মহান কুরবানির শিক্ষা দেয়। কুরবানি হচ্ছে মূলত ত্যাগ। ত্যাগের মধ্যেই এর সার্থকতা ও তাৎপর্য নিহিত। তাই পূর্বকন্ঠ পরিবারের পক্ষ থেকে প্রত্যাশা ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হউক সকলের জীবন। ঈদ সবার জীবনে নিয়ে আসুক অনাবিল সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি। ঈদ মোবারক।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন