বিচারপ্রার্থী গৃহবধূকে যুবলীগ নেতার নেতৃত্বে ধর্ষণের অভিযোগ
কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলায় স্বামী-স্ত্রীর পারিবারিক কলহের বিচার চাইতে গিয়ে যুবলীগ নেতা ও তার এক সহযোগীর দ্বারা সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন এক গৃহবধূ। গত ২৪ জুন কালারমারছড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্বাস উদ্দিন ও তার সহযোগী হাবিবুল্লাহর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী ওই নারী। ,
৩২ বছর বয়সী অভিযুক্ত আব্বাস ওই ইউনিয়নের ফকিরজুম পাড়ার মো. আমিনের পুত্র এবং তার সহযোগী ২০ বছরের হাবিবুল্লাহ নোনাছড়ি এলাকার মোজাহের ওরফে মুজু বলির পুত্র। মামলা গ্রহণের বিষয়টি সোমবার সন্ধ্যায় নিশ্চিত করেছেন মহেশখালী থানার ওসি মো. আবদুল হাই। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ভুক্তভোগী ওই নারীর স্বামী কালারমারছড়া ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। মনোমালিন্যের জেরে মাতারবাড়িস্থ বাবার বাড়িতে অবস্থান করছিলেন ভুক্তভোগী। ,
পরে বিষয়টির মীমাংসা ও বিচার সালিশের জন্য ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্বাস উদ্দিনের কাছে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ২২ জুন বিকেলে সিএনজিতে চড়ে ফকিরজোম পাড়ার ফরেস্ট অফিসের সামনে পৌঁছালে ওই গৃহবধূকে আব্বাস ও হাবিবুল্লাহ তার স্বামী পাশের একটি বাড়িতে অবস্থান করছেন বলে জানান এবং সেখানে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানে গিয়ে গৃহবধূ দেখেন তার স্বামী নাই। এ সময় তার ওপর হামলে পড়েন আব্বাস ও হাবিবুল্লাহ। বাধা দিতে গেলে তাকে বেঁধে ধর্ষণ করেন দুজন।,
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, ঘটনার পর পর বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানান ওই গৃহবধূ। পরে ঘটনার জের ধরে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে চিকিৎসাও নেন। স্থানীয়দের বরাতে জানা গেছে, কিছুদিন আগে র্যাবের হাতে অস্ত্রসহ আটক হয়ে কারাভোগ করেছেন যুবলীগ নেতা আব্বাস। এ অবস্থায় তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক মামলাও রয়েছে। ,
এ ছাড়া আব্বাসের সহযোগী হাবিবুল্লাহ নানা সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ আছে। তার বিরুদ্ধেও মারামারিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। এই দুজনের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। মহেশখালী থানার ওসি আবদুল হাই জানিয়েছেন, মামলাটির তদন্ত শুরু হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।,
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন